কাঁটাতারের বেড়া মানে না দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন: কলকাতায় বললেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী

Main দেশ বাংলাদেশ বিদেশ বিনোদন
শেয়ার করুন

Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৩০ অক্টোবর: কাঁটাতারের বেড়া কিংবা ভৌগোলিক সীমারেখা বেঁধে দিলেও এপার বাংলা-ওপার বাংলার মানুষের হৃদয়ের বন্ধন কেউ আলাদা করতে পারবে না। কলকাতায় একথা বলেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় রবীন্দ্র সদনে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনী অনুশঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশের মন্ত্রী এই মৈত্রীর কথা বলেন।

উত্তম-সুচিত্রা শুধু ভারতের নয়, আমরা মনে করি তারা বাংলার, তারা আমাদেরও- হাছান মাহমুদ

বাঙালিদের মেধার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “ভারত থেকে যারা নোবেল পুরস্কার পেয়েছে তাদের অধিকাংশই বাঙালি। মেধায় বাঙালিরা  বিশ্বের অনেককে পিছনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বের উন্নত সংস্কৃতিগুলির মধ্যে অন্যতম।” ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন- “আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি যেন কাঁটাতারের বেরায় আবদ্ধ হয়ে না যায়। শিল্পীদের ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। উত্তম-সুচিত্রা শুধু ভারতের নয়, আমরা মনে করি তারা বাংলার, তারা আমাদেরও।”

দুই বাংলার শিল্পীদের মধ্যে নেই কোনও দূরত্ব-বাবুল সুপ্রিয়

সম্মানিত অতিথি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, দুই দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমাদের যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। এপার বাংলা-ওপার বাংলার শিল্পীদের মধ্যে আসলে কোন দূরত্ব নেই।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন- ্বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক এখনও কমেনি। দর্শকদের উৎসাহিত করতে দুই দেশের চলচ্চিত্রকে আরও সংগঠিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন প্রমুখ অনুশঠানে বক্তব্য রাখেন। দু’দেশের শিল্পীরা যৌথভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান, অনির্বান ভট্টাচার্য ও জয় সরকার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চ্ঞচল ছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন টিনা রাসেল, মৌসুমী হোসেন, সাব্বির আহমেদ ও প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমের বিশিষ্ট সাংবাদিক, কর্তা-ব্যাক্তিরা। ছিলেন বাংলাদেশ হাই-কমিশন, নয়াদিল্লির প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ।

নন্দনে যেসব চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে

কলকাতায় নন্দন ১,২ ও ৩ প্রেক্ষাগৃহে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ২৫টি চলচ্চিত্রের উন্মুক্ত প্রদর্শনী চলছে। পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- গুণিন, হৃদিতা, বিউটি সার্কাস, হাওয়া, পরাণ, পায়ের তলায় মাটি নাই, পাপ পূণ্য, কালবেলা, চন্দ্রাবতী কথ, চিরঞ্জীব মুজিব, রাহানা মরিয়ম নূর, নোনাজলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, লালা মোরগের ঝুঁটি, গোর, গ্নডি, বিশ্ব সুন্দরী, রূপ্সা নদীর বাঁকে, শাটল ট্রেন, মনের মত মানুষ পাইলাম না, ন-ড্রাই, কমলা রকেট, গহীন বালুচর, ঊনপঞ্চাশ বাতাস। প্রামাণ্য চলচ্চিতের মধ্যে রয়েছে ‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’, বধ্যভূমিতে একদিন, একটি দেশের জন্য গান, মধুমতি পারের মানুষটি শেখ মুজিবুর রহ্মান ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে খড়, ময়না, ট্রানজিট, কোথায় পাবো তারে, ফেরা, নারী জীবন, কাগজ খেলা এবং আড়ং।


শেয়ার করুন