নৈহাটিতে ১৫-১৮ বছরের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া ৭৫ শতাংশ সম্পূর্ণ, মঙ্গলবার হবে সেন্ট লিউক’স ডে স্কুলে

Main কোভিড-১৯ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১০, ২০২২ @ ২০:৪৭

 

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১০ জানুয়ারি: সারা দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ-এর প্রকোপ দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত করোনার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। রাজ্যের মধ্যে দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতায় সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে নৈহাটি পুর এলাকায় করোনা বিধি মানতে পুর-প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ১৫-১৮ বছর বয়সী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছেন পুর-প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায়। আগামিকাল মঙ্গলবার নৈহাটিতে সেন্ট লিউক’স ডে স্কুলে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলেও তিনি জানান।

সোমবার সংবাদ প্রভাকর টাইমসকে নৈহাটির পুর-প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন- ” নৈহাটি সেফ হোমে এদিন সকাল পর্যন্ত ৩৮জন এসেছে। নৈহাটি পুর-প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে করোনা বিধি মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সব রকমের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।আক্রান্ত যেমন হচ্ছে সুস্থও হয়ে উঠছে অনেকে। আজ থেকে বুস্টার ডোজ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই নৈহাটিতে একাধিক স্কুলে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন, মাদার’স ল্যাব স্কুল সহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আগামিকাল নৈহাটিতে সেন্ট লিউক’স ডে স্কুলে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের।”

তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন সেফ হোমে রয়েছেন নৈহাটির পুর-প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায় ও পুরপ্রশাসনের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসক সনৎ দে। তবে সেফ হোমে থেকেও কিন্তু পুর-প্রশাসনের এই দুই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের দায়িত্ব একইভাবে পালন করে চলেছেন। পুর-প্রশাসক অশোকবাবু এদিন এসপিটি-কে জানান, তাঁর করোনা পজিটিভ হওয়ার পর শনিবার থেকে তিনি সেফ হোমে রয়েছেন। নৈহাটি পুরপ্রশাসনের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসক সনৎ দে নিজেও আছেন সেফ হোমে। তাঁরা দু’জনেই সেখান থেকেই বর্তমানে স্কুলগুলিতে হওয়া ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া পরিচালনা করছেন। আর তা হয়ে চলেছে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই।ইতিমধ্যে নৈহাটি পুর এলাকায় ১৫-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া ৭৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আগামিকাল মঙ্গলবার হতে চলেছে সেন্ট লিউক’স ডে স্কুলে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই গোটা রাজ্যজুড়ে স্কুলগুলিতে চলছে ১৫-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। সরকারি স্কুলগুলির পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিতেও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে সেইসব বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতেই সেখানে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।

নৈহাটির পুর-প্রশাসক অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, করোনা পরিস্থিতি নৈহাটিতে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। বাড়ির বাইরে বেরোলে সকলকে মাস্ক পরতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। নৈহাটিতে সমস্ত বাজার এখন থেকে সকাল সাতটা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।একবেলাই এখন বাজার খোলা রাখা যাবে। তবে দোকান-পাট সরকারি নির্দেশ মেনে খোলা যাবে। আর রাত ১০টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে মানা করা হয়েছে।

আজকের পরিস্থিতি অনুযায়ী সারা দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণের নিরীখে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের পরেই। রাজ্যে আজ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,২৮৬জন। এর মধ্যে ৮,১৮৭জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছে ১৬জন। পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ৩৭.৩২ শতাংশ।

Published on: জানু ১০, ২০২২ @ ২০:৪৭


শেয়ার করুন