বেনারস-হলদিয়া জলপথ চালু করে প্রধানমন্ত্রী দিলেন সমালোচকদের যোগ্য জবাব, কাশীর উন্নয়নে দিলেন এই বার্তা

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: নভে ১২, ২০১৮ @ ২১:৪৪

এসপিটি নিউজ, বেনারস, ১১ অক্টোবরঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সোমবার বেনারসে এক গুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। হর হর মহাদেব বলে তিনি এদিন উপস্থিত জনতাকে সম্বোধিত করেন।তিনি বলেন-আস্থা পবিত্রতা সূর্য উপাসনার মহাপর্বে প্রতিটি ঘর সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক এই কামনা করি। আপনাদের সকলকে দীপাবলী, ভাই ফোঁটা, গোবর্ধন পুজোর সঙ্গে সকলকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।

জনতা সম্বোধিত করে প্রধানমন্ত্রী বলতে শুরু করেন-” সঙ্গীরা, দশহরা, দীপাবলীর পর আপনাদের সঙ্গে ফের একবার যোগাযোগের সুযোগ হল। আমার পরম সৌভাগ্য যে দীপাবলীর দিন আমি কেদারনাথ দর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম। এক সপ্তাহের মধ্যে আমি বাবার নগরীতে ফের তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার সুযোগ হল। আজ মহামনা পুন্যতিথী , আমি তাঁকে নমস্কার জানাই।কাশীর জন্য, পূর্বাঞ্চলের জন্য, পূর্ব ভারতের জন্য আজকের দিন ঐতিহাসিক। চার বছরে কাশী উন্নয়নের সাক্ষী থেকেছে, যা দশকের প্রথমেই পাওয়া উচিত ছিল। আজ বেনারস এই কথার সাক্ষী থেকে সঙ্কল্প নিয়ে যখন কাজ সম্পূর্ণ করেছে তা শুধু উজ্জ্বল নয় গৌরবময় হয়ে উঠেছে।”

এখানেই থেমে না থেকে প্রধানমন্ত্রী বলতে থাকেন-” নতুন প্রজন্ম পরিকাঠামোর সঙ্গে কাজকর্ম করে চলেছে। প্রধান সেবক হওয়ার ফলে এই জন্য আমি নিজেও আজ খুশি। পবিত্র ভূমির সঙ্গে যে কোনও মানুষের একটা আধ্যাত্মিক সম্পর্ক আছে। আজ জল-স্থল-আকাশ তিন ক্ষেত্রকে জুড়ে দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। নদী পথে দেশের প্রথম কন্টেনার ভেসেল চালুর জন্য স্বাগত জানাচ্ছি। মাল্টি মডেল টার্মিনালের উদ্বোধন করা হল। আমার আনন্দ হচ্ছে এই ভেবে যে আজ বহুদিন পর কাশিতে আমার স্বপ্ন পূরন হল। কন্টেনার ভেসেল অর্থাৎ স্টিমার চালু হয়ে যাওয়ায় পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ স্থাপন হল।”

আজ রোড রিংগার রোড, কানেক্টিভিটি, বাবতপুর বিমানবন্দর, বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে গঙ্গার দূষণ রোধে পরিকল্পনার শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। এই কাজ সম্পূর্ণ হলে গোটা বারানসীর ছবিটাই বদলে যাবে।  এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন-“প্রথম সুযোগে আমরা ব্যবসার জন্য এত প্রশস্ত স্তরে নদী পথ ব্যবহার করতে পারছি। চার বছর আগে, বেনারস-হালদিয়া জলপথে সংযোগ করার চেষ্টা শুরু করলে, নেতিবাচক আলোচনা হয়েছিল। নেকে অনেক কথা বলেছিল। তা নিয়ে অনেকেই ব্যঙ্গ করেছিল। আজ তারা যোগ্য জবাব পেয়ে গেছে আশা করি। জাহাজের আগমনের সাথে সবাই উত্তর পেয়েছিল। এটি প্রথম কন্টেইনার ভেসেল মালবাহী পরিবহন নয়, এটা নতুন ভারত জিতেছে। এটা এমন এক কর্মের প্রতীক যা দেশের সম্পদ এবং দেশের শক্তি নির্ভর করে হয়েছে। আজ কন্টেনার ভেসেল শিল্প সামগ্রী নিয়ে এসেছে, এবার সে এখান থেকে সার নিয়ে যাবে। অর্থাৎ, রাজ্যে তৈরি পণ্য সরাসরি পূর্ব ভারতের বন্দর পৌঁছে যাবে।এমন দিন আর বেশি দূরে নেই যখন এখানকার সবজি আর অন্যান্য উৎপাদিত সামগ্রী এই জলপথ দিয়ে বাইরে যাবে।”

ভাবুন, কৃষকদের জন্য লক্ষ লক্ষ উদ্যোক্তাদের জন্য কত বড় রাস্তা খুলে গেল। এটি বাইরে থেকে কাঁচামাল আমদানি এবং মান সংযোজনের একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। আমি এই জন্য উৎসাহ ও ভালবাসার জন্য তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞ, ২০১৯ সালে তাদের প্রয়োজন হবে।

“স্বাধীনতার আগে দেশের নদীতেও জাহাজ চলাচল করত। কিন্তু রুটকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে আগের সরকার শুধু উপেক্ষাই করে গেছে। দেশের ক্ষতি করেছিল। আপনারা ভাবুন, পুরনো সরকার শক্তিশালী নদীগুলির শক্তি নিয়ে অবিচার করেছে। আমাদের সরকার এই কাজ শেষ করেছে। আজ দেশে ১০০টিরও বেশি নৌপথ কাজ করছে। এই সুবিধাটি বেনারস ও হালদিয়ার মধ্যে জলপথ পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে। শুধু উত্তরপ্রদেশ, ইউপি, বিহার ও রাঁচিও এ থেকে উপকৃত হবে না। এটি কেবল মাল পরিবহন নয়, পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পাশাপাশি এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গেও যুক্ত হবে। সময়ের সাথে সাথে, এই রুট পর্যটনের জন্য পরিচিত হবে। কাশীর সভ্যতা ও অনুষ্ঠানগুলি সব প্রাসঙ্গিক হবে। উন্নয়ন মানচিত্র একটি আধুনিক চেহারা সঙ্গে বরাবর করা হবে।” বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

সব শেষে মোদি বলেন-“প্রবাসী ভারতীয় দিবস কাশীর পবিত্র ভূমিতে অনুষ্ঠিত হবে। আপনাদের মতো, আমি সেইসময় এখানে উপস্থিত থাকব তাদের স্বাগত জানাতে। সার বিশ্ব থকে বহু মানুষ সেই অনুষ্ঠানে মিলিত হবে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন এই শহরে এমন সুবিধা দেখে তারাও চমকে যাবেন।সকলকে ছটপুজোর শুভেচ্ছা জানাই। জয় ছট মাইয়া। হর হর মহাদেব।” এই বলে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ভাষন শেষ করেন।

Published on: নভে ১২, ২০১৮ @ ২১:৪৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 63 = 66