বিশ্বের উচ্চতম মূর্তি এখন ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’, ২০২১ সালে মুম্বই-এ বসছে আরও উঁচু মূর্তি

Main দেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: অক্টো ৩১, ২০১৮ @ ২০:৪২

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ এক সময় শোনা যেত নিউ ইয়র্কে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র কথা। এরপর সেই মূর্তিকে ছাপিয়ে গেল চিনের এক বুদ্ধ মূর্তি। এতদিন ১২৮ মিটার অর্থাৎ ৪০০ফুট উঁচু এই মূর্তি ছিল বিশ্বের সব চেয়ে উঁচু মূর্তি। এবার সেই মূর্তিকে উচ্চতায় পিছনে ফেলে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নর্মদা জেলায় আজ বুধবার উন্মোচিত হল দেশের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলেজ ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ মূর্তি। ১৮২ মিটার অর্থাৎ ৬০০ফুট উঁচু এই মূর্তিটি বিশ্বের মধ্যে এখন সব চেয়ে উঁচু মূর্তি বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী মূর্তিটির আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।তবে জানা গেছে, এর চেয়েও আরও অনেক উঁচু মূর্তি বসানোর তোড়জোড় চলছে ভারতের মুম্বইয়ে।

জানা গেছে সতেরোশো শতাব্দীর বীর রাজা ছত্রপতি শিবাজির এক অসাধারণ মূর্তি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। মুম্বইয়ের শরাইনে ২১২মিটার উঁচু এই মুর্তিটি ঘিরে ইতিমধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। যেখানে ঘোড়ার পিঠে তরোয়াল হাতে দেখা যাবে যোদ্ধা ছত্রপতি শিবাজিকে।

নীচ থেকে ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ দেখা যাবে। তবে এই মূর্তির ভিতরে গিয়ে ১৫৩ মিটার পর্যন্ত ওঠা যাবে।এজন্য আপনাকে ৩৫০টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হবে। অনলাইনে টিকিট বুকিং-এর জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর বৈষম্যপূর্ণ দেশকে একত্রিত করার জন্য সরদার প্যাটেলের “কৌশলগত চিন্তাভাবনার” প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে “আমাদের প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রতীক” হিসেবে বর্ণনা করেওন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

গুজরাট সরকার জানিয়েছে, এই মূর্তি স্থাপনে ১৮৫জন পরিবার সহযোগিতা করেছে। তারা ১,২০০ একর জমি দেন সরকারকে। সর্দার প্যাটেল ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ভারতের বহু ছোট রাজ্যকে একত্রিত করে ভারতের মধ্যে রাখার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।

এই মূর্তিটি গড়তে মোট সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। যার মধ্যে ১০০জন ছিলেন চিনের। মূর্তিটির নীচের অংশ কংক্রিট, মাঝের অংশ স্টিল আর একেবারে উপরের অংশ তৈরি হয়েছে ব্রোঞ্জ দিয়ে। ভিতরে দুটি ফ্লোর রাখা হয়েছে। যেখানে দর্শকরা প্রবেশ করতে পারবেন লিফটের মাধ্যমে।প্রথম ফ্লোরটি থাইয়ের কাছে আর দ্বিতীয় ফ্লোরটি বুকের কাছে। তবে কাঁধ কিংবা মাথার কাছে দর্শকরা যেতে পারেবেন না। মূর্তিটি রক্ষনাবেক্ষনের জন্য প্রতি বছর ৪৫কোটি টাকা খরচ হবে।

এদিন মূর্তির উন্মোচন ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। ড্রোন ও হেলিকপটারে চলতে থাকে প্রহরা। ৫ হাজার পুলিশকে প্রহরার কাজে নিয়োগ করা হয়।

Published on: অক্টো ৩১, ২০১৮ @ ২০:৪২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 68 = 77