Published on: জুলা ১৪, ২০১৯ @ ২৩:৫৩
এসপিটি নিউজ, নৈহাটি, ১৪জুলাই: লোকসভা ভোটে বারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবির পর এলাকাজুড়ে তান্ডব চলে। বিশেষ করে নৈহাটি বিধানসভা এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগের পরই এলাকাজুড়ে তৃণমূল প্রচার অভিযান চালায়। আজ রবিবার নৈহাটি শহরে তৃণমূল কংগ্রেস এক মহামিছিল বের করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিধায়ক তাপস রায়, নির্মল ঘোষ, পার্থ ভৌমিক, প্রদেশ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সম্রাট তপাদার, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবোধ অধিকারী, নৈহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অশোক চ্যাটার্জি, শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সনৎ দে প্রমুখ।
বারাকপুর কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে যেভাবে ভরাডুবি
বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে শুধুমাত্র নোয়াপাড়া এবং আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্র বাদে বাকি পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপির প্রার্থীর থেকে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল প্রার্থী। এই বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু পরাজয়ের পর গোটা নৈহাটি এলাকাজুড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস যেমন দখল করে নেওয়া হয়েছিল পাশাপাশি এলাকার তৃণমূল সমর্থকদের এলাকাছাড়া করেছিল বিজেপি। এমনই অভিযোগ তুলে নৈহাটিতে দলের সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনে এক ধিক্কার সমাবেশের আয়োজনও তারা করে।
মুখ্যমন্ত্রীর সেদিনের সেই হুঁশিয়ারি
সেই ধিক্কার সমাবেশে দাঁড়িয়ে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী নৈহাটি থানার আইসিকে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে ”নৈহাটি থানায় ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর সন্ত্রাসের অভোযোগ এনে এলাকাছাড়া হওয়ার ৪০০ অভিযোগ থানায় জমা দেওয়া সত্ত্বেও থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি এলাকায় আমাদের পার্টি অফিস পর্যন্ত দখন করে নেয় বিজেপি। আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি আমি চলে যাওয়ার পর আর একজনের উপর যদি অত্যাচার হয় সেই খবর যদি আমার কানে আসে তাহলে আমি কিন্তু এখানে উপস্থিত ডিজি সাহেবের থেকে সব কিছু বুঝে নেব বলে দিয়ে গেলাম।”
মিছিলে শান্তির বার্তা
মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারির পর কিন্তু নতুন করে আর সন্ত্রাস হয়নি নৈহাটিতে। তবে এলাকায় এখনও একটা চাপা উত্তেজনা আছে। আর সেই ভয় কাটাতেই এদিন রাস্তায় নামে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।যেখানে বার্তা ছিল- সন্ত্রাস নয় শান্তি। বিভেদ নয় ঐক্য। সাম্প্রদায়িকতা নয় সম্প্রীতি।
Published on: জুলা ১৪, ২০১৯ @ ২৩:৫৩