বারাকপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয়, এখানে কোনো অশান্তিচক্রী ব্যাক্তির গ্রহণযোগ্যতা নেই

রাজ্য লোকসভা ভোট 2019
শেয়ার করুন

গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেবার বাম-কংগ্রেসের আঁতাত জেতাতে পারেনি কংগ্রেস প্রার্থী সম্রাট তপাদারকে। এক তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবার তিনি সেই দীনেশ ত্রিবেদীর হয়ে দেওয়াল লিখন শুধু নয় জোরদার প্রচার শুরু করেছেন। এমনকি, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেছেন সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এ।

Published on: মার্চ ৩০, ২০১৯ @ ০০:২৪

প্রতিবেদক-সম্রাট তপাদার

এসপিটি বিশেষ প্রতিবেদনঃ আমি দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক ইতিহাস, গল্প ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাক্ষী।বারাকপুরে জন্ম-কর্ম হওয়ার জন্য বারাকপুরের মানুষকে খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করতে পারি।

বারাকপুরের ইতিহাস কোনোদিন বেইমানদের ক্ষমা করেনি

১) বারাকপুরের মানুষ অত্যন্ত রুচিশীল ও সংস্কৃতিমনস্ক, সাহিত্য প্রিয়,ধর্মনিরপেক্ষ।বারাকপুরের মানুষ সর্ব-ধর্ম সমন্বয়কে বিশ্বাস করে।বারাকপুরে সব ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-জাতি নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে ভালোবাসার অটুট বন্ধন।যা কেউ কোনোদিন ভাঙতে পারেনি ও পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।বারাকপুরের ইতিহাস কোনোদিন বেইমানদের ক্ষমা করেনি। ইতিহাস বলে, “বীর শহীদ মঙ্গল পান্ডের বিশ্বাসকে ধোকা বা বেইমানি করেছিল ইংরেজের এক পদস্থ আধিকারিক তাই সিপাহি বিদ্রোহ হয়েছিল”।

২) “ঠিক সেই ভাবে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সব কিছু নিয়ে তার বিশ্বাসকে আঘাত করেছে,বারাকপুরের মানুষ ওই বেইমানকে ক্ষমা করবে না এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লব-এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পতন ঘটবেই।বারাকপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ এখানে কোনো অশান্তিচক্রী ব্যাক্তির গ্রহণযোগ্যতা নেই।”

চাতুরী করে বারাকপুরবাসীর সঙ্গে তৃণমূলের অটুট বন্ধন ভাঙা যায় না

৩) ২০১৪ সালে বারাকপুর লোকসভার কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে উপলব্ধি করেছিলাম চাতুরী করে বারাকপুরের মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের অটুট বন্ধন ভাঙা যায় না”।সেই বাস্তব  উপলব্ধি এবং কংগ্রেস ও সি. পি. এম এর আদর্শবিহীন আঁতাত-প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলার রাজনীতির নতুন মুখ অভিষেক ব্যানার্জীর প্রতি আস্থা, আশা ও ভরসা করে তৃণমূলে যোগদান করি।এ কথা বলতে দ্বিধাবোধ করি না, ‘আমার নেতা অভিষেক ব্যানার্জী আমাকে কোনো দিন রাজনৈতিক ভাবে নিরাশ করেনি’।তার দেওয়া রাজনৈতিক স্বীকৃতি ও ভরসাকে নিয়ে মানুষের মধ্যে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছি।

৪) সাংগঠনিক ভিত তৃণমূলের এখানে অত্যন্ত মজবুত ও মানুষের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ থাকার জন্য বারাকপুরের মানুষ তৃণমূলকেই গ্রহণ করে ও করবে যেহেতু,বারাকপুরে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিজীবী মানুষের নিবাস।তাই মানুষের নেতা হিসাবে আজ প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক,শিক্ষিত, ভদ্র ও সাংগঠনিক রুচিশীল হিসাবে বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও শীলভদ্র দত্ত প্রতিষ্ঠিত ।

৫) কিছু দিন যাবৎ, কিছু সংবাদমাধ্যম অর্থনৈতিকভাবে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গেল গেল রব তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হবে না।বারাকপুরের মানুষ জানে,সব কিছু পেয়ে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হতে পারলো না সেই বেইমান আমাদের কি করে হবে।

পরিশেষে

৬) আমি দৃঢ়তার সাথে বলছি,ভদ্র রুচিশীল মানুষ হিসেবে পরিচিত দীনেশ ত্রিবেদী মহাশয়কে মানুষ গ্রহণ করে বিজয় করবেন এবং অশান্তিপ্রিয় নেতাদের কাছ থেকে বারাকপুরকে বাঁচাবেনই বাঁচাবেন।

লেখক-প্রদেশ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক

Published on: মার্চ ৩০, ২০১৯ @ ০০:২৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

85 + = 88