বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে

Main দেশ বাংলাদেশ
শেয়ার করুন

Published on: আগ ১৭, ২০২২ @ ২৩:০৮

এসপিটি নিউজ,কলকাতা, ১৭ আগস্ট: সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। এই উপলক্ষে সারা দিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন-১৯৭৫ সালে বেঁচে গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের উপর পরবর্তীতে ১৯বার হামলা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়- “মুজিব চিরঞ্জীব” মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং কলকাতাস্থ বেকার গভ: হোস্টেল-এর “বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দুপুরে খাবারের আয়োজন করা হয় এতিম খানার দুস্থ ও অনাথ শিশুদের জন্য। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র হিসেবে ১৯৪৫-৪৬ সালে ৮, স্মিথ লেনের বেকার গভর্নমেন্ট হস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়

সোমবার বিকেলে ‘বাংলাদেশ গ্যালারি’তে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। যথাক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন কাউন্সেলর (কন্স্যুলার) মোঃ বশির উদ্দিন, মাননীয় পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন, প্রথম সচিব (বাণ্যিজিক), মো: শামসুল আরিফ, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক), মিজ সানজিদা জেসমিন।

অনুষ্ঠানে কে কি বললেন

  • সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলকাতা প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট স্নেহাশীষ সুর বলেন, দেশবাসীর প্রতি বঙ্গবন্ধুর এতটাই বিশ্বাস ছিল যে, তিনি নিজের জীবন নিয়ে সতর্ক বার্তাও গুরুত্ব দেননি।
  • পশ্চিমবঙ্গ পিএসসি এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং পশ্চিমবঙ্গের রেডক্রস এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ নুরুল হক (ওঅঝ-জবঃফ) বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থান করে নিয়েছে। বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত রুমে থাকতে পারাকে জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি।
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রফেসর শ্রী সুরঞ্জন দাশ বঙ্গবন্ধুকে অবিহিত করেন উন্নয়নশীল বিশ্বের মুক্তির মহানায়ক হিসেবে।
    প্রাক্তন সাংসদ ও বার এসোশিয়েসন কলকাতা-এর প্রাক্তন সভাপতি, সরদার আমজাদ আলী স্বাধীনতা যুদ্ধে “বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক সমিতি” এর ভূমিকার বর্ণনা দেন।
  • পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মূখ্যমন্ত্রীর মূখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, ভাষিক জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র নির্মাণে করে দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
  • পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি ও পরিষদ বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আশা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

১৯বার হামলা

সমাপনী বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন,  ১৯৭৫ সালে বেঁচে গেলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের উপর পরবর্তীতে ১৯বার হামলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

Published on: আগ ১৭, ২০২২ @ ২৩:০৮


শেয়ার করুন