প্রাণী চিকিৎসায় সারা বিশ্বে সপ্তম বৃহত্তম কোম্পানি VIRBAC, ভারতে প্রথম

অর্থ ও বাণিজ্য দেশ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিদেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

  • ১৯৬৮ সালে VIRBAC কোম্পানি গড়ে ওঠে।আমাদের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ড. পিয়ের‍্যি রিচার্ড ডিক।
  • কম বেশি ১০০টি দেশে আমাদের ব্যবসা চলছে। আমাদের সারা বিশ্বে সাতটি দেশে রিসার্চ উইং আছে-আমেরিকা, মেক্সিকো, চিলি, উরুগুয়ে, ফ্রান্স, ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়া।
  • “আমি আমার ২৩ বছরের অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে বলছি- এখানে প্রাণী চিকিৎসকরা খুব ভালো কাজ করছেন।”

সংবাদদাতা-অনিরুদ্ধ পাল

Published on: মে ২৮, ২০১৯ @ ১৬:৩৪

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৮মে: প্রাণী চিকিৎসা এবং প্রাণী বিষয়ক একাধিক পণ্য উৎপাদনে সারা বিশ্বে প্রথম সারির যে কোম্পানি নজর কেড়েছে তার মধ্যে ভিরব্যাক অন্যতম।ফ্রান্সের এই বহুজাতিক কোম্পানি ইতিমধ্যে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করে সারা বিশ্বে সপ্তম বৃহত্তম কোম্পানি হিসেবে নিজেদের মেলে ধরেছে। এমনকি ভারতে এক নম্বর স্থান দখল করে নিতেও তাদের সময় লাগেনি।ভারতে এই কোম্পানির সিনিয়র রিজিওনাল বিজনেস ম্যানেজার দেবাশীষ বিশ্বাস সংবাদ প্রভাকর টাইমস-কে জানালেন কোম্পানির আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

কোম্পানির সূচনা ও প্রতিষ্ঠাতা   

” ১৯৬৮ সালে এই কোম্পানি গড়ে ওঠে। ভিরব্যাক আসলে ফ্রেঞ্চ মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি। আমরা ফেস করছি ফ্রান্সের নিশে। আমাদের যে প্রতিষ্ঠাতা হলেন ড. পিয়ের‍্যি রিচার্ড ডিক। উনি একজন সাধারণ ক্যারিয়ান ছিলেন। কিন্তু উনি অসাধারণ ইন্টার প্রিনিয়ারশিপ।যেটা থেকে উনি এই ধারণাটা আনেন – সমাজসেবা করতে গেলে বা সমস্ত প্রাণীদের জন্য তাদের নিজের থেকে কিছু করতে হবে অন্য কারও উপর নির্ভরশীল থাকলে হবে না। তারপর উনি ১৯৬৮ সালে নিশে এই কোম্পানিটা প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর ক্যারোসে এখন আমাদের কোম্পানির প্রসার হয়েছে।সেখানেই কোম্পানির প্রধান কার্যালয়। আমরা এখন সপ্তম বৃহত্তম ভেটেরিনারি কোম্পানি।প্রাণীদের প্রোডাক্টের উৎপাদনের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে এখন আমরা প্রথম।”

৩ হাজার রকমের প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড

“এছাড়াও পোলট্রি, ডেয়ারি, গোটারি, শিপ, ফিশারি সব কিছুর উপরেই আমাদের প্রোডাক্ট আছে। ইকোয়াইন, ক্যালাইন, ক্যাপাইন সব কিছুর উপর আমাদের প্রোডাক্ট আছে। আমাদের বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট রিলেটেড সব রকমের প্রোডাক্ট আছে। আমাদের ৩০০০ কাছে প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড আছে। কম বেশি ১০০টি দেশে আমাদের ব্যবসা চলছে। আমাদের সারা বিশ্বে সাতটি দেশে রিসার্চ উইং আছে-আমেরিকা, মেক্সিকো, চিলি, উরুগুয়ে, ফ্রান্স, ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়া। যেখানে আমাদের প্রোডাক্ট রিসার্চ করা হয়।”

“আমাদের ইন্ডিয়া, লাতিন আমেরিকা, ইউরোপে আছে। আমাদের কিছু ইনোভেটিভ প্রোডাক্ট আছে। ইন্ডিয়াতে আমরা ভিরব্যাক এসছি প্রায় ১২ বছর। আর এই সময় আমরাই এখানে ১ নম্বর স্থানে আছি। একটা মার্জিন হয়েছিল ভিরব্যাকের সঙ্গে গ্ল্যাক্সোর, ২০০৬ সালে। গ্ল্যাক্সোর এক্সিবিশনটা ভিরব্যাক নিয়ে নেয়। গত দু’বছর ধরে আমরা ভারতে এক নম্বর কোম্পানি।”

সমস্যা থাকলেও সুসম্পর্ক সকলের সঙ্গে

“সেইভাবে আমাদের এখনও মার্কেটে কোনও সমস্যা নেই। আমরা সমস্ত মানের প্রোডাক্ট উৎপাদন করে থাকি।সমস্যা যেটা আছে তা সরকারের দিক থেকে। কারণ, এক এক সরকারের এক এক রকম পলিসি। প্রোডাক্ট রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কিছু টাইম নষ্ট হয়ে থাকে। তা নিয়ে কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের দিক থেকে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। তবে বাকি সব দিক থেকে আমরা সরকারের সহযোগিতা পেয়ে থাকি।সমস্ত পোল্ট্রি ফার্মার্স হোক কিংবা ক্যাটল ফার্মার্স সকলের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক আছে।”

ভিরব্যাকের প্রোডাক্টের বিশেষত্ব

“সমস্ত কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট তাদের মতো করে ভালো বানায়। আমরা আমাদের মতো করে ভালো বানাই। আমরা যেটা চেষ্টা করি সেরা কেমিক্যালটা দিয়ে বানাতে। অনেক কোম্পানি আছে যারা তা তৈরি করে। যেমন ধরুন ভিটামিন-এ নিয়ে এখন খুব কথা হয়। বন্ধ্যাত্ব রোধ করার জন্য। ভিটামিন -এ অনেক রকম ভাবে পাওয়া যায়। অ্যাসেডেট ফর্মে ভিটামিন-এ সব চেয়ে কমন। এটা খুব ইকোনমিক্যাল। কিন্তু পামিটেড ফর্ম খুব কস্টলি ভিটামিন-এ।আমরা যখন ভিটামিন-এ বানাই তখন সেটা পামিটেড। কিন্তু ম্যাক্সিমাম বানায় অ্যাসিডেট ফর্মে। যা অনেকটাই স্থায়ীত্ব দেয়। এই ডিফারেন্সটা আমাদের কোম্পানি দিতে পারে।”

“এরকম সমস্ত প্রোডাক্টের দিকে নজর দিয়েছি। ইন্টার মিনারেল- অ্যান্টার ভেনিজম যে ফ্যাক্টরটা আছে সেটাকে আমরা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছি। আমরা যে চিলাটেড মিনারেল নিয়ে এসছি ।সেটাতে আমরা অ্যামোনো চিলেশন করেছি। বাকিরা চিলেশন করেছে হয় তারা সুগার চিলেশন নতুবা এমএইচএ চিলেশন। এখানেই আমাদের বিশেষত্ব।

সচেতনতা অনেকে বেড়েছে ভারতে, ভাল কাজ করছেন প্রাণী চিকিৎসকরা

“সংখ্যার বিচারে আমাদের ভারতে প্রাণীর জনসংখ্যা অনেক বেশি সারা বিশ্বের মধ্যে। কিন্তু প্রাণী পিছু প্রোডাকশনে ইউরোপ অনেক এগিয়ে আছে।ইজরায়েল, সুইৎজারল্যান্ড অনেকটাই এগিয়ে আছে। কিন্তু টোটাল নেট প্রোডাকশানে ইন্ডিয়া এখন এক নম্বরে। অন্য দিক থেকে দেখলে দেখা যাবে বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে জনসংখ্যা যেহেতু কম তাই রোগটা অনেক কম হয়। সেটা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। যেখানে ইন্ডিয়াতে অনেক বেশি আছে। আমি আমার ২৩ বছরের অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে বলছি- এখানে প্রাণী চিকিৎসকরা খুব ভালো কাজ করছেন। এবং মানুষকে সচেতন করার জন্য ঠিক যা যা প্রয়োজন তারা তা খুব সুন্দরভাবে করে চলেছেন।” বলেন দেবাশীষবাবু।

Published on: মে ২৮, ২০১৯ @ ১৬:৩৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

30 + = 38