সংবাদদাতা– কৃষ্ণা দাস
Published on: সেপ্টে ২৮, ২০১৮ @ ১৯:৩৩
এসপিটি নিউজ, জলপাইগুড়ি, ২৮সেপ্টেম্বর: মাত্র ১০ গ্রামের দাম ১০ লক্ষ টাকা। সোনার ভরি হিসেবেই এগুলি বিক্রি করা হয়। ভাবছেন তো-জিনিসটা কি? সাধারণ মানুষের কাছে এ তেমন কিছু নয় কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য অনেক। তা হল ভল্লুকের পিত্ত থলি। যা শিশুদের প্যাম্পার্সের ভিতর লুকিয়ে রেখে পাচার করতে গিয়ে বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের উত্তরবঙ্গের স্পেশাল টাস্কফোর্সের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়ে গেল। উদ্ধার হল ৩০০গ্রাম পিত্ত থলি। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।ধৃত দুই পাচারকারী ভুটানের বাসিন্দা স্বীকার করেছে এগুলি তারা থাইল্যান্ডে পাচারের উদ্দেশ্যেই নিয়ে যাচ্ছিল।
বন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের ডিএফও’র গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে ইন্দো-ভুটান সীমান্তের জয়গাঁ অঞ্চল থেকে ভল্লুকের পিত্ত সহ ওই দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম টি টি নামগেইল, বাড়ি ভুটানের মঙ্গর জেলায়।অন্যজনের নাম লোলো, তার বাড়ি ভুটানের চুখা জেলায়।ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
টাস্ক ফোর্সের প্রধান বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত জানান, তাদের কাছে আগে থেকেই এরকম একটি খবর ছিল। সেই মতো গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন বনকর্মীকে সঙ্গে করে সাদা পোশাকের ছদ্মবেশে অভিযানে বেরোন তারা। শুক্রবার ভোরে ভুটান সীমান্ত অঞ্চলের জয়গায় মঙ্গলবাড়ি বাজারে হানা দেন। শিশুদের মল, মুত্রের জন্য ব্যবহৃত পরিহিত প্যাম্পার্সের মধ্যে থেকে উদ্ধার করেন ৩০০ গ্রাম ওজনের পিত্ত। গ্রেফতার করা হয় দুই পাচারকারীকে। কিন্তু এক শিশুকে নিয়ে এক মহিলা বাজারে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বনবিভাগের আধিকারিকরা ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছেন, এই পিত্তগুলি থাইল্যান্ডে পাচারের উদ্দেশ্যেই জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
আরও জানা গেছে, এই পিত্ত থলি পাচারে যাতে কারও নজর না পড়ে সেজন্য তারা এগুলি ভিন্ন উপায়ে বেছে নেন। যেমনটি তারা এদিন করেছিল অর্থাৎ প্যাম্পার্সের ভিতর লুকিয়ে রেখে ওটি সহজে নিয়ে যাচ্ছিল। বন দফতরকে কেউ যদি খবর না দিত তাহলে হয়তো এটি গন্তব্যে অনায়াসেই পৌঁছে যেত।তবে এর পিছনে আরও কারা জড়িত আছে তা জানতে ধৃতদের লম্বা জেরা শুরু করতে চলেছে বন দফতর।ধৃতদের আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়।ধৃতদের জেরা করে তারা আরও জানতে পেরেছে এগুলি সাধারণত ওষুধ প্রস্তুতিতেই কাজে লাগে। মধুমেয়, মশাবাহীত রোগ, হৃদরোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
Published on: সেপ্টে ২৮, ২০১৮ @ ১৯:৩৩