বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে “মুজিব চিরঞ্জীব” ভাস্কর্যের উদ্বোধন

Main দেশ বাংলাদেশ বিদেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ১১, ২০২২ @ ১৭:১৩
Reporter:Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১১ জানুয়ারি:  আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে ১০ জানুয়ারি দিনটিতে বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দিনটি তাই বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসাবেই ঐতিহাসিক হয়ে আছে।গতকাল সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে সাড়ম্বরে উদযাপিত হল দিনটি।সেই উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কলকাতার প্রাঙ্গণে নবনির্মিত “মুজিব চিরঞ্জীব” নামে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সোমবার এক ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এমপি। উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন-“১৯৭১ এর ১৮ এপ্রিল কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন বাংলাদেশের প্রথম কূটনৈতিক মিশন হিসেবে আত্মঃপ্রকাশ করে। সেই ঐতিহাসিক ভবনটি আজও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন হিসেবে স্বমহিমায় বিরাজমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনকালে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অসংখ্য স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী শহর কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য স্থাপন নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।”

আলোচনা সভায় যারা বক্তব্য রাখেন

এদিন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও গবেষক মেজর (অবঃ) এ এস এম শামসুল আরেফীন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সন্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক পঙ্কজ সাহা এবং উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোঃ শামসুল আরিফ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) ও দূতালয় প্রধান মিজ শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি।

ফিরে দেখা সেই দিন

  • পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে লায়ালপুরের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ নয় মাসের সাজা ভোগ করার পর শেখ মুজিব ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি পান।এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তোলা হয়।
  • সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছন।
  • রাত ১০টার পর বঙ্গবন্ধু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমেদ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেন।
  • পরদিন ৯ জানুয়ারি তিনি ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানে দেশের উদ্দেশে রওনা হন।
  • ১০ জানুয়ারি সকালে তিনি দিল্লিতে অবতরণ করেন।
  • সেখানে, শেখ মুজিব ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন।

উদার সাহায্যের জন্য ভারতের নেতা ও জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে “অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।১০ জানুয়ারি দিল্লি থেকে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে ঢাকার মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত লাখো উল্লসিত বাঙালি তাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অভ্যর্থনা জানায়। বিকাল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে ভাষণ দেন তিনি।

Published on: জানু ১১, ২০২২ @ ১৭:১৩


শেয়ার করুন