পুলওয়ামাঃ তদন্তে বড় সাফল্যের পথে NIA, জানা গেল হামলায় ব্যবহার করা গাড়ি ও তার মালিকের নাম

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: ফেব্রু ২৫, ২০১৯ @ ২৩:০২

এসপিটি নিউজ, শ্রীনগর, ২৫ ফেব্রুয়ারিঃ জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার তদন্তে নেমে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন অ্যাসোসিয়েশন (এনআইএ) এক বড় সূত্র খুঁজে পেল। ওই আত্মঘাতী হামলায় জঙ্গি যে কার ব্যবহার করেছিল সেই কার ও তার মালিকের পরিচয় জানতে পেরেছে তারা। এই গাড়িটি দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বিজবেহরা এলাকায় বসবাসকারী সাজ্জাদ ভট্টর বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সাজ্জাদ সোপিয়ার সিরাজ-উল-উলুমের ছাত্র। মনে করা হচ্ছে যে সাজ্জাদও জৈশ-ই-মহম্মদে যোগদান করে ফেলেছে।

পুলওয়ামা হামলার তদন্তকারী এনআইএ দলটি ঘটনাস্থলে গিয়ে জঙ্গিদের দ্বারা ব্যবহৃত গাড়িটির টুকরো সংগ্রহ করেছে। যেখানে ফরেন্সিক ও অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে কার মডেলটি সনাক্ত করা হয়।আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ব্যবহার করা এটি ছিল কার মারুতি ইকো। যার চেসিস নম্বর হল MA3ERLF1SOO183735 এবং ইঞ্জিন নম্বর G12BN164140 । এই গাড়িটি ২০১১ সালে অনন্তনাগে জালিল আহমেদ হক্কানিকে বিক্রি করা হয়েছিল।

এর পর গাড়িটি আরও সাতজনকে বিক্রি করা হয় এবং অবশেষে ৪ ফেব্রুয়ারি এই গাড়িটি অনন্তনাগ জেলার বিজবেহরা এলাকায়  মহম্মদ মকবুল ভট্টের পুত্র সজাদ ভট্টের কাছে পৌঁছয়। সাজ্জাদ দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ায় সিরাজ-উল-উলুমের ছাত্র ছিলেন। সাজ্জাদের সন্ধানে, এনআইএর দলটি ২৩ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সাথে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। যদিও তাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে সে পালাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মনে করা হচ্ছে যে, সজাদ ভট্টও এই হামলার দায় স্বীকার করে নেওয়া জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদে সামিল হয়ে গেছে। এটা তখনই পরিষ্কার হয়ে যায় যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সুসজ্জিত অস্ত্রের সঙ্গে সাজ্জাদেরও একটি ছবি সামনে চলে আসে। এর আগে জৈশের পক্ষে আত্মঘাতী হামলাকারী আদিল আহমেদ দারকে অস্ত্র নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিতে দেখা গেছিল।

গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সিআরপিএফ-এর কনভয়ের উপরআত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ হয়। সেই হামলায় ৪০জন শহীদ হন। বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর শব্দ চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা গেছে এবং বিস্ফোরণের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত ১০০ থেকে ১৫০ মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। কেন্দ্র সরকার এই ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএর উপর ছেড়েছে।এখন সাজ্জাদকে গ্রেফতার করতে পারলে জানা যাবে আরও অনেক তথ্য। গোয়েন্দারার সেদিকেই এগিয়ে চলেছে।

Published on: ফেব্রু ২৫, ২০১৯ @ ২৩:০২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 34 = 42