দীর্ঘদিনের দাবি মাত্র দেড় মাসেই সম্পন্ন, অসাধ্যসাধন করে দেখালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

Main প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা– ডা. সৌমিত্র পন্ডিত

Published on: নভে ২০, ২০১৮ @ ২৩:২১

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২০ অক্টোবরঃ কোনও বড় ধরনের কাজে বিশেষ কারও ভূমিকা থাকে সবসময়। অতীতে দেশ-বিদেশে এমন হাজারো উদাহরন আছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নামও। যে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার পর তার কর্মকাণ্ড যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে প্রসারিত হয়ে চলেছে তা সত্যিই আজ সকলের নজর কেড়েছে।মাত্র ২৩ বছরে নিজের কর্মকুশলতা আর দক্ষতা যেভাবে মেলে ধরেছে তাতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এক অনন্য নজির তৈরি করেছে নিঃসন্দেহে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একটি প্রেক্ষাগৃহের জন্য যে আন্দোলন ও দাবি ছিল দীর্ঘদিনের তা যে মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই পূরণ হতে পারে তা কিন্তু প্রমাণ করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই উপাচার্য স্বয়ং অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাস। রীতিমতো অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এতবড় জায়গা যা সকলের অগোচরে ছিল সেই জায়গায় ৫০০ আসনের এক অত্যাধুনিক সুদৃশ্য প্রেক্ষাগৃহ অর্থাৎ কম্যিউনিটি হল গড়ে তোলা সম্ভব হল শুধুমাত্র এই মানুষ্টির জন্যই। এর নেপথ্য কারিগর হলেন এই উপাচার্য অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই প্রেক্ষাগৃহটি ব্যাঙ্ক ঋন নিয়ে স্থাপন করা হল, যা কিনা প্রতি মাসে সহজ কিস্তিতে প্রেক্ষাগৃহ থেকে আসা আয়ের অংশ দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে পরিশোধ অকরে দেওয়া যাবে বলে আশা করছি।একই সঙ্গে তিনি বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষনার জন্য অনেক আর্থিক সাহায্য পান, তাই এই প্রেক্ষাগৃহের আয় বাবদ যে টাকা আসবে তা শিক্ষকদের গবেষনার জন্য দেওয়া হবে।এই মহতী ক্ষনে যাঁরা সাক্ষী রইলেন তাঁদের কাছে আগামী ভবিষ্যৎই বলবে এই প্রেক্ষাগৃহের কি হবে।”

আগামী ২২ থেকে ২৪শে নভেম্বর এই প্রেক্ষাগৃহেই প্রথম মাংস ও মাছ নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এই সম্মেলনের আগাম সাফল্য কামনা করেন উপাচার্য অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাস।

নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বেঙ্গল ভেটেরিনারি কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর আজ ২০ নভেম্বর ২০১৮ সালে স্থাপিত হল নতুন কম্যিউনিটি হল বা সামাজিক ভবন।উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক পূর্ণেন্দু বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক অধ্যাপক শ্যামসুন্দর দাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনা সম্প্রসারন ও খামার অধিকর্তা অধ্যাপক অরুণাশীষ গোস্বামী এবং ছাত্র -শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক বলেন, “প্রতি বছর ৪-৫টি বড় বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যার প্যান্ডেল খরচ প্রচুর হয়ে যায় সেটি এবার কিছুটা লাঘব হবে। সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছুটা আয়ও হবে।” তিনি উপাচার্যের এই মহান উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানান।

এদিনের অনুষ্ঠানে বহু প্রাক্তন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। যাদের মধ্যে অধ্যাপক রাহুল সিনহা, অধ্যাপক চন্দন কুমার দাশগুপ্তা, অধ্যাপক অমিয় কুমার প্রামানিক, অধ্যাপক মদন রায় উল্লেখযোগ্য। এদিনের অনুষ্ঠানে সম্মেলনের আয়োজক সম্পাদক অধ্যাপক শুভাশীষ বিশ্বাসও উপাচার্যের এই মহান প্রয়াসকে কুর্নিশ জানিয়ে ধন্যবাদ জানান।

Published on: নভে ২০, ২০১৮ @ ২৩:২১


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

44 − 40 =