ভয়েই কি আত্মহত্যা! কি হবে এখন তাহলে, মাথায় হাত পুলিশের

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                            ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: মার্চ ১০, ২০১৮ @ ২০:০৩

এসপিটি নিউজ, শালবনী, ১০ মার্চঃ স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া। তা নিয়ে হাতাহাতি। স্বামীর মারে হাত ভাঙে স্ত্রীর। অভিযোগ গড়ায় থানা পর্যন্ত। পুলিশ বিষয়টির মীমাংসা করতে চেয়ে দুই পক্ষকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু ফল হয়ে গেল উলটো। স্বামী ভেবে বসল তাকে বোধহয় গ্রেফতার করবে পুলিশ। ভয়ে বাড়িতে থকে গায়েব হয়ে গেল স্বামী। রাতে বাড়ির কাছের একটি ফাকা মাঠে জাম গাছে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ভবলীলা সাঙ্গ করে বসল স্বামী। উদ্ধার হল তার মৃতদেহ। শালবনী থানার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা রণজিৎ মাহাতোর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে গেছে।

এমন হবে সেটা ভাবতেও পারেনি শালবনী থানার পুলিশ। তারা বলছে, এ কি অবস্থা। পুলিশ কি তাহলে কাউকে থানায় ডেকে আনতে পারবে না? আগে আয়। গোটা ব্যাপারটা শোন, তা না আগেই গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়লি! মহা ফাপড়ে পড়েছে পুলিশ।

শালবনীরই সাতপাটি অঞ্চলের বাসিন্দা পূর্ণিমা মাহাতোর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জগন্নাথপুরের বাসিন্দা রণজিৎ মাহাতোর। দুই ছেলে বর্তমান। চাষবাস করেই চলে সংসার। মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। মঙ্গলবার দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। রঞ্জিতের মারে হাত ভেঙে যায় স্ত্রী পূর্ণিমার। ঘটয়ার আকস্মিকতায় ভেঙ্গে পড়ে রণজিৎ।

এই ঘটনার পর পূর্ণিমার বাড়ির লোকজন শালবনী থানায় গিয়ে রণজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে আসে। পুলিশ দুই পক্ষের কাছ গোটা ঘটনা শুনে মীমাংসা করতে রবিবার তাদের থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল। এই খবর কানে যায় রণজিতের। তার মনে হয়েছিল পুলিশ বোধহয় তাকে গ্রেফতার করবে। সেই ভয়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকাল হতেই দেখা যায় বাড়ির কাছে একটি ফাঁকা মাঠের ধারে জামগাছের ডালে ঝুলছে রণজিতের মৃতদেহ।

পুলিশ এর ঘটনার পর নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার আকস্মিকতায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Published on: মার্চ ১০, ২০১৮ @ ২০:০৩


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 3 = 1