Published on: জানু ২৮, ২০১৯ @ ২১:২০
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৮ জানুয়ারিঃ “এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনিই আমাদের নেত্রী। বিজেপিকে হারাতে তাঁর নেতৃত্বেই লড়ব। ওদের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। বিজেপিকে হারাতে যা যা করতে হয় করব।” সোমবার নবান্নে এসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে এভাবেই নিজের মত প্রকাশ করলেন মালদা উত্তর আসনের সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। আর এটা সম্ভব করে দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থা ভাজন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
কয়েকদিন আগেই সারা ভারতের মধ্যে সেরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে। সাম্প্রতিককালে গোটা দেশে জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত নামও সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই। অনেকে অনেক প্রতিবাদ করছে কেন্দ্রের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এটা যেমন ঠিক তবে এটাও ঠিক যে সবার আগে সেই প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠছেন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তাই তিনি যে এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন সেটা সকলেই বুঝতে পারছেন। পারছেন এরাজ্যের বিরোধীরাও। তাই অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে আসার জন্য পা বাড়িয়েই রয়েছেন। কারণ তারা ভালোমতোই বুঝে গেছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন সবচেয়ে যোগ্য নেত্রী। তাই তাঁর নেতৃত্বে লড়াই করার সুযোগ হাত ছাড়া করা যাবে না। সেই কথা ভেবেই মালদা উত্তরের কংগ্রেস সাংসদ মৌসন বেনজির নুর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েই তিনি সেকথা জানিয়েও দেন।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, তৃণমূলে যোগ দিলেও তিনিই হতে চলেছেন সম্ভবত ঐ আসনে তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী। একই সঙ্গে দল তাঁকে মালদার পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রচারের দায়িত্বও দিয়েছেন। মৌসমের তৃণমূলে যোগদানের ফলে মালদায় কংগ্রেস অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ল। কারণ, এতদিন মালদা উত্তর আসনে মৌসমই ছিল অতি পরিচিত মুখ। এখন তাঁর দলত্যাগের ফলে ওই আসনে কংগ্রেসের নতুন প্রার্থীকে দাঁড় করাতে হবে।
এসবটাই কিন্তু সম্ভব হয়েছে দিদির আস্থাভাজন শুভেন্দু অধিকারীর জন্য। এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসে শুভেন্দু অধিকারী যে সবচেয়ে বেশি আস্থা ভাজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তৃণমূলে অনেকেই এমন দায়িত্ব নিয়ে আছেন। কিন্তু তাদের এমন একজনও নেই যিনি শুভেন্দু অধিকারীর মতো সাংগঠনিক দিকে খেয়াল রেখে দিদির হাত মজবুত করে চলেছেন। এর আগেও মালদায় কংগ্রেসের নেতাদের তৃণমূলে যোগদান করিয়েছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর পিছনে যে কারণটি বেশি কাজ করছে তা হল কংগ্রেসের অনেকেই এখন বর্তমান প্রদেশ নেতৃত্বের উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না। তারা বুঝে গেছেন এরা সেই সিপিএমের বি টিম। যার জন্য একদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস ছাড়তে হয়েছিল। যে প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে সিপিএমের প্রতি প্রেম বড় হয়ে ওঠে সে দলে থেকে তারা কিভাবে বিজেপি বিরোধিতার কাজ করবে? এই ভাবনাও দল বদলের পিছনে বড় কাজ করেছে। আর সেই ভাবনাকে জাগিয়ে তুলেছে মালদার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা পরবিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
Published on: জানু ২৮, ২০১৯ @ ২১:২০