দিদির সুরক্ষা কবচ-এর মিউজিক ভিডিও-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল আজ , গেয়েছেন জিৎ গাঙ্গুলি

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ২৯, ২০২৩ @ ২১:২০
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: আজ তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে দিদির সুরক্ষা কবচ মিউজিক ভিডিও-র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা-নেত্রী দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ ও তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে ভিডিও-টির উদ্বোধন করা হয়। দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে যে সাফল্য এসেছে সেই সাফল্যকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে আজ এই মিউজিক ভিডিও এবং এই গান আমরা লঞ্চ করছি। প্রখ্যাত গায়ক জিৎ গাঙ্গুলি গানটি গেয়েছেন। এই গান সাফল্যের গান। এই গান উন্নয়নের গান। এই গান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের গান। এই গান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তারুণ্যের গান।বলেন তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

“এই মিউজিক ভিডিও-র মাধ্যমে সেই আন্তরিকতা আরও বেশি ভাবে প্রকাশ পাবে”

দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন- “এই মিউজিক ভিডিও-র মাধ্যমে সেই আন্তরিকতা আরও বেশি ভাবে প্রকাশ পাবে। তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতি পাঁচ বছর অন্তর টানা তিনবার মানুষ আমাদের ফিরিয়ে এনেছে। তখন আমরা প্রতি বারই কিছু জনসেবামূলক কর্মসূচি করে থাকি। সরকারি তরফে হোক কিংবা দলের তরফে আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করেছি। কখনও ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যা-তৃণমূল কংগ্রেস-সাধারণ মানুষ-এর এই যে কেমিস্ট্রি, আমাদের বার বার সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছে। দিদির সুরক্ষা কবচ এমন একটি কর্মসূচি যেখানে রাজ্য সরকারের বাছাই করা ১৫টি প্রকল্প এবং জীবনের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেই ছ’টি ধাপ , তার মাধ্যমে দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছি।”

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ এমন একটি স্বপ্ন, এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্বপ্ন

দিদির সুরক্ষা কবচ এমন একটি স্বপ্ন, এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের স্বপ্ন। দিদির সুরক্ষা কবচ এমন একটি স্বপ্ন যে স্বপ্নকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার প্রতিটি কোনায় প্রত্যেকটি প্রান্তে তাঁর প্রতিনিধিদের পাঠাচ্ছেন এবং পাঠিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস দল পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে সচেষ্ট হয়েছে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, সেটা কতটা সফল হচ্ছে এবং সেটা কোন জায়গায় গিয়ে আটকে যাচ্ছে। আপনারা নিশ্চয় খেয়াল রাখবেন, স্বাস্থ্য-শিক্ষা-আবাস-উপার্জন-সামাজিক-খাদ্য সুরক্ষার মতো ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে রেখে সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৫টি প্রকল্পকে সামনে রেখে আমরা মানুষের পাশে পাশে যাচ্ছি।” বলেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।

“তৃণমূল কংগ্রেস দল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঢপবাজির উপর বিশ্বাস করে না”

একই সঙ্গে তৃণমূল নেতা তৃণাঙ্কুর বলেন- “তৃণমূল কংগ্রেস দল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঢপবাজির উপর বিশ্বাস করে না।তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের আগে দিল্লি থেকে উড়ে এসে বড় বড় লেকচার দিয়ে চলে যাওয়ার দল নয়। তৃণমূল কংগ্রেস দলে প্রত্যেকটি এমপি বলুন, বিধায়ক বলুন ,কাউন্সিলর বলুন, পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যা বলুন তারা শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যাব আর ভোটের পর মানুষ দেখা পাবে না সেরকম নয়। তারই প্রমাণ স্বরূপ তৃণমূল কংগ্রেস দলই হল একমাত্র দল যার সৎ সাহস রয়েছে। মানুষের সামনে যাওয়ার। তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র দল যার সেই সৎ চেষ্টা রয়েছে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়ে দেখা যে আমাদের সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা কত শতাংশ মানুষ পাচ্ছে কত শতাংশ মানুষ পাইনি।”

প্রায় সাড়ে তি্ন থেকে চার লাখ ভল্যান্টিয়ার সারা বাংলায় ঘুরছেন

“আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের এই পরিষেবা থেকে একটা মানুষও যাতে বঞ্চিত না হয় তার জন্য তার বিশ্বস্ত সাড়ে তিনশো সৈনিককে বাংলার প্রায় দুই কোটি বাড়িতে পাঠাচ্ছেন। প্রায় সাড়ে তি্ন থেকে চার লাখ ভল্যান্টিয়ার সারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরা শুরু করেছে। কিন্তু দিদির এই সুরক্ষা কবচ নিয়ে দারুন সাড়া মিলছে উতসাহব্যঞ্জক সাড়া মিলছে, এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। যোগ করেন তৃণাঙ্কুর।

আজকে বিভিন্ন মিডিয়া, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন মানুষ তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিদ্রোহের কথা। কিন্তু আমাদের নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খুব সুন্দর করে বলেছেন –আমরা মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ, তাদের পাওয়া-না পাওয়া শুনতেই তাদের কাছে যাচ্ছি। তাই দিদির এই সুরক্ষা কবচ সার্বিকভাবে শুধু দিদির সুরক্ষা কবচ হিসাবে নয় বাংলার প্রতিটি মা-ভাই-বোনেদের সুরক্ষা কবচ হিসাবে কাজ করছে।

‘আমরা ভয় পাই না মানুষের মুখোমুখি হতে’

রাজ্য সরকারের প্রশংসা করে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন- “আমাদের সরকার উদার। আমাদের সরকার বলে- আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে কাজ করতে বিশ্বাসী। কিন্তু সেই সরকার স্বীকারও করে নেয় যদি কোনও জায়গায় কোনও খামতিও থাকে তা মেটানোর প্রয়াস নেওয়া হয়। আমরা ভয় পাই না মানুষের মুখোমুখি হতে। আমাদের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের দরবারে যাই। যদি ভুল হয় তাহলে জোর হাত করে ক্ষমা চেয়ে বলি –আসুন সেই ভুলটাকে শুধরে নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছেন।”

ছবিটি ফেসবুক থেকে নেওয়া

Published on: জানু ২৯, ২০২৩ @ ২১:২০


শেয়ার করুন