911i মেডিক্যাল ট্যুরিজমে এক নয়া অধ্যায়, মিলবে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরী সহায়তা

Main দেশ ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: জানু ২৯, ২০২৩ @ ১৮:০৫
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: নতুন বছরে মেডিক্যাল ট্যুরিজমে এক নয়া অধ্যায় খুলে দিল ‘911i ট্রাস্টেড হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্স’। এখন থেকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরী সহায়তা দেবে এই সংস্থা।একদিকে তারা যেমন চিকিৎসার বিষয়ে যাবতীয় সহায়তা দেবে ঠিক তেমনই সংস্থাটি পরিবারে একা হয়ে যাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যাবতীয় সহায়তা করবে। এক কথায় তারা দেশ-বিদেশের মানুষদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যাবতীয় সহায়তা করে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। কেয়ার ও সার্ভিস এই দুটো দিকেই তারা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। একটি টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই মিলবে সহায়তা।

সংস্থার নাম কেন 911i রাখা হল

সংস্থার সম্পূর্ণ নাম ‘911i ট্রাস্টেড হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্স’। মানে বিশ্বস্ত স্বাস্থ্য সহায়তা হল 911i। কিন্তু এই 911i রাখা হল কেন? এই প্রশ্নের জবাবে সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিশ্যেষ কারণ বলা হয়েছে। তারা বলেছে যে 911i অর্থাৎ আই মানে ইন্ডিয়া আর ৯১১ হল ইউএসএ-র জরুরী নম্বর। আমেরিকায় এই নম্বরে কল করলেই আপনার কাছে লোক পৌঁছে যাবে সহায়তার জন্য। এটা ওখানকার এমার্জেন্সি নম্বর।আমরা চাই এমার্জেন্সি ব্যাপারটা যাতে ধীরে ধীরে এখানে কভার করে।হেলথ কেকেয়ারের ক্ষেত্রে আমরা হতে চাইছি এমন একটা প্রতিষ্ঠান যেখানে এলে মানুষ তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সবরকমের সহায়তার যোগাযোগের সন্ধান জানতে পারে।

আমাদের দেশে মেডিক্যাল ট্যুরিজমের ধারণা থাকলেও তা খুব বড় আকারে নেই। তাই সংস্থাটি এসব কিছুকে একটা ছাতার তলায় আনার কথা ভাবছে। এটা অনেক লোকবলের উপর নির্ভর করে।

সংস্থাটি গড়ে তোলার মুখ্য উদ্দেশ্য

আজকাল বহু মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যায় পড়ে। তারা বুঝতে পারে না, ঠিক কোন জায়গায় গেলে সেই রোগের চিকিৎসা মিলবে। কোন ডাক্তারের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করবে। কোন জায়গায় তারা উঠবে, কথায় গেলে তারা তাদের পছন্দের খাবার পাবে- এই সমস্ত কিছুর সহায়তা দিয়ে থাকে মেডিক্যাল ট্যুরিজম। এবার এই নয়া সংস্থা মেডিক্যাল ট্যুরিজমে এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করল। এখন থেকে 911i টিম এই বিষয়ে যাবতীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকবে।এটা ভারতের মধ্যেও হতে পারে আবার কেউ দেশের বাইরে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছে কিংবা দেশের বাইরে থেকে এখানে চিকিৎসা করাতে আসছে উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।এটা ভারতের মধ্যেও হতে পারে আবার কেউ দেশের বাইরে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছে কিংবা দেশের বাইরে থেকে এখানে চিকিৎসা করাতে আসছে উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।এটাই মূল উদ্দেশ্য এই সংস্থার।

বর্তমানে সংস্থাটি এই ব্যবস্থা আপাতত শহর ভিত্তিক করেছে। পাশাপাশি তারা আশ্বস্ত করেছে যে যদি সব কিছু ঠিকঠাক চলে তাহলে গ্রামের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এটা সারা ভারতে করার ইচ্ছা আছে। কারণ, আজকালকার বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েই বাইরে চলে যাচ্ছে। মানুষ তাই খুব একা। সাহায্য করার কেউ নেই।তাদের কথা ভাবা হয়েছে।

কি ধরনের সহায়তা মিলবে

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে কেউ সাথে লোক চাইলে তা দেওয়া হবে।সেই সাথে প্লেনের টিকিট, হোটেলের টিকিট, হোটেল বুকিং থেকে হাসপাতালের বুকিং এমনকি কোথা থেকে নিজেদের পছন্দের খাওয়া-দাওয়া পাওয়া যায় পাশাপাশি লোকাল ট্রান্সপোর্টেরও সহায়তা করবে এই সংস্থা।কোনও ক্রিটিক্যাল রোগীর ক্ষেত্রে যদি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স লাগে সেই ব্যাপারেও যোগাযোগ করে দেওয়া হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।মানে এক কথায় কেয়ার আর সার্ভিস দেওয়া।“আমরা চিকিৎসার মধ্যে কোথাও নেই কিন্তু চিকিৎসার জায়গায় পৌঁছনো পর্যন্ত আমরা আছি। ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই কিংবা মুম্বইতে গিয়ে কেউ যখন ডাক্তার দেখাবে সেখানে রোগীর বাড়ির লোকজনকে লাইনে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে কোন কাউন্টার যাবে, তা নিয়ে তাদের কোনও চাপ নিতে হবে না। সব আমাদের কেয়ার এক্সিকিউটিভ করে দেবেন। অবশ্যই এজন্য একটা চার্জেস আছে।এটা হচ্ছে একটা ন্যাচারলি সার্ভিস।” জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

একা থাকা মানুষদের জন্যও রাখা হয়েছে ব্যবস্থা

“পাশাপাশি, কলকাতার ক্ষেত্রে আমরা শুধু বয়স্ক নয় যারা সম্পূর্ণ একা থাকে যাদের দেখভালের কেউ নেই তাদেরও আমরা সহায়তা দেব। আজকাল তো এখন ৩০-৪০ বছরের মানুষদের হার্ট-অ্যাটাক হচ্ছে, তাই প্রত্যেকেরই হেলথ চেক-আপের দরকার আছে। এদের জন্যও আমাদের টিম তৈরি আছে।এদের কথা ভেবে আমরা এরকম চারটে ধাপ করেছি। এক মাস, তিন মাস ছ’মাস এবং ১২ মাস। প্রত্যেকটা সময়কালের জন্য এক একরকমের চার্জ আছে। সেখানে আমরা হেলথ চেক-আপ, জিপি ভিজিট অর্থাৎ জেনারেল ফিজিশিয়ান ভিজিট, কার্টসি কল মানে কেউ একটা কল করে মাসে আপনার খোঁজ নেবে। মাসের শুরুতে বাড়িতে গিয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলে আসবে। মানে যাবতীয় সব কিছু করে দিয়ে চলে আসবে। অ্যাম্বুলেন্সের দরকার হলে সেটাও দেবে।জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এমনকি, কিছু এরিয়া ভিত্তিক আমরা এমার্জেন্সি সার্ভিস মানে রাতের বেলা অ্যাম্বুলেন্সের দরকার হল, কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে- আমরা সেটার মধ্যেও ঢোকার চেষ্টা করছি।টেলিফোনিক্যালি আমরা সেই সময় সাপোর্ট দেবো।” জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটিকে মজবুত করতে চিন্তাভাবনা

সংস্থাটিকে মজবুত করে তুলতে এখন থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা তাদের টোল-ফ্রি নম্বর প্রকাশ করেছে। সেখানে কল করলে তাদের এক্সিকিউটিভ ফোন ধরবে। যাবতীয় ভাবে গাইড করবে। এটা তাদের ওয়েবসাইটে আছে।পরবর্তী কালে তাদের একটা কল সেন্টার সেট-আপ করার পরিকল্পনা আছে। টেকনোলজিক্যালি আরও স্ট্রং করার কথা ভাবছে। এই মুহূর্তে তারা প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু রোগীকে একত্রিত করতে চাইছে।ক্লাব মেম্বার যারা হবে তাদের নিয়ে আমরা বিষয়টাকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

পরিচিতির জন্য কি করছে

এই সংস্থাটির বিষয়ে এখনও অনেকেরই অজানা। বহু মানুষের কাছে এই সংস্থাটির বিষয়ে কোনও খবর এখনও পৌঁছয়নি। তাই পরিচিতির জন্য ইতিমধ্যে সংস্থাটি কয়েকটি প্রয়াস নিয়েছে। ইতিমধ্যে তারা কয়েকটি মেডিক্যাল ক্যাম্প করছে। যাতে করে সকলে এই বিষয়টা সম্পর্কের জানতে পারে।এমনকি, বিভিন কর্পোরেট অফিসে তারা মেডিক্যাল ক্যাম্প করার কথা ভাবছে। আছে কিছু কিছু প্রত্যন্ত এলাকাও। যেখানে মানুষের এই বিষয়ে ধারনা খুবই কম।

ডিজিটাল মার্কেটিং-এর জন্য কি করছে

এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং তো আছেই। সেজন্য তারা বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে টাই-আপ করছে। বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টারের সঙ্গেও টাই-আপ করার কথা ভেবেছে। মানে পুরো ব্যাপারটা যাতে একটা ছাতার তলায় লোকে সহায়তা পেতে পারে, তারই চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থাটি। তারা চাইছে মানুষ যাতে কোনও দালাল চক্রের পাল্লায় না পড়ে। আমরা সেদিকেই নজর দিতে চাইছি।স্বচ্ছ আর আন্তরিক পরিষেবা।

Published on: জানু ২৯, ২০২৩ @ ১৮:০৫


শেয়ার করুন