সংবাদদাতা– অনিরুদ্ধ পাল
Published on: মে ২৩, ২০১৯ @ ১৭:৪২
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৩ মে: এবারের ভোটে প্রচারে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস তাদের নিজের মতো করে স্লোগান ছড়িয়ে লড়াইয়ে নেমে ছিলেন। মোদির স্লোগান তুলেছিলেন- ‘আব কি বার ৩০০ পার।’ সেই স্লোগান কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে সারা দেশে। অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান দিয়েছিলেন- ‘১৪২৬ ৪২-এ ৪২।’ সেটা কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের যা ট্রেন্ড তাতে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে ২৫টি আসনে আর বিজেপি ১৬টিতে।
মমতার স্লোগান গ্রহণ করেনি মানুষ
নির্বাচনী প্রচারে মমতার লক্ষ্য ছিল বিজেপিকে পয়ারাজিত করা। মোদি সরকারকে হঠানো। আর সেজন্য তিনি লাগাতর ভাবে মোদির বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমনাত্মক ভাষা প্রয়োগ করে গিয়েছেন। কখনও বলেছেন- এই এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রীকে মানি না। নির্বাচনের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী আসবে। মোদি আর আসতে পারবে না। মোদি হঠাও বলে একের পর এক সভাতেই দাঁড়িয়ে আওয়াজ তুলেছেন। বলেছিলেন- ‘মোদি হঠাও দেশ বাঁচাও।’ বলেছিলেন- ‘মায়েরা দাও উলুধ্বনি ভাইয়েরা দাও তালি, দেশ থেকে বিজেপিকে করো খালি।’ ‘বিজেপিকে হারাও আর ভালো করে রাজনৈতিকভাবে কবর দাও।’ এসব মানুষ যে একেবারেই ভাল্ভাবে নেয়নি সেটা কিন্তু ভোটের ফলাফলে প্রকাশ হতে শুরু করেছে।
‘মোদি ম্যাজিক’
ভোটের ফলাফলে কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে তৃণমূলের ৪২-এ ৪২ তো হয়ই নি সেখানে তাদের গড়ে থাবা বসিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে ভাল ফল করেছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত বিজেপি ১৫টিরও বেশি আসনে এগিয়ে আছে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে ২৫টি আসনে। ভোটের ফলের ট্রেন্ড দেখে যে মনে হয়েছে তাতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছে- মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও পরিষ্কার করে বলা ভাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। গত কয়েক বছরে রাজ্যের নির্বাচনে যেভাবে ‘মমতা ম্যাজিক’ কাজ করেছিল এবার তা পুরোপুরি ফ্লপ করেছে। সেখানে রাজ্যে এবার ‘মোদি ম্যাজিক’ তার কেরামতি দেখিয়ে দিয়েছে।
মমতার অভিনন্দনকে প্রত্যাখ্যান করলেন বিজেপি প্রার্থী
আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ো ইতিমধ্যে জয়ের পথে এগিয়ে চলেছেন। তৃণমূলের মুনমুন সেনের বিরুদ্ধে তার ব্যবধান দেড় লক্ষেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।য়ার তাঁর এই অভিনন্দনকে প্রত্যাখান করেছেন বাবুল সুপ্রিয়ো। তিনি বলেছেন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বির্বাচনে মানুষকে ভোট দানে বাধা প্রদান করতে তার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্ররোচিত করেছেন যেভাবে তিনি রাজ্যে হিংসার আবহ ছড়াতে চেয়েছেন তার পর তার এই অভিনন্দনের কোনও প্রাসঙ্গিকতা দেখে না বিজেপি। বিজেপির কাছে মানুষের অভিনন্দনই হল বড়।
Published on: মে ২৩, ২০১৯ @ ১৭:৪২