কে এই অজয় শিট, কেন তার ভয়ে খড়্গপুরের নিমপুরা আর্য্য বিদ্যাপীঠের খুদে পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে চাইছে না

এসপিটি এক্সক্লুসিভ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                        ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: মার্চ ১৭, ২০১৮ @ ২১:৪৬

এসপিটি নিউজ, খড়্গপুর, ১৭ মার্চঃ  এখন অভিযোগ ওঠার পর থেকে এই অজয় শিট নামে ব্যক্তিটি নিজেই হয়ে গেছে বেপাত্তা। খাতায়-কলমে তিনি হলেন খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত নিমপুরা আর্য্য বিদ্যাপীঠের একজন অশিক্ষক কর্মচারী। কিন্তু তিনি নিজেকে স্কুলের শিক্ষক হিসেবেই জাহির করতেন, এমন অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগকে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি তো খুদে পড়ুয়াদের মারধরের ঘটনার অভিযোগ নিয়ে কার্যত ঐ অশিক্ষক কর্মচারীর হয়ে সাফাই দিয়ে জানিয়েছেন- বাচ্চারা একটু দুষ্টুমি করলে যেরকম শাসন করা উচিত উনি সেটাই করেছেন। যদিও সেই শাসক মশাই অবশ্য নিজেই এখন শৃঙ্খলা দেখাতে না পেরে বেপাত্তা হয়ে গেছেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ।

এই অজয় শিটের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা আরও মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে এসছে। তাদের অভিযোগ, ওই ব্যক্তিটি নাকি প্রায় স্কুলে মদ্যপ অবস্থায় আসতেন। আর খুদে পড়ুয়াদের শাসনের নামে চেলা কাঠ দিয়ে পেটাতেন।

শুক্রবারও তিনি মদ্যপান করে স্কুলে এসেছিলেন। স্কুলের কয়েকজন ছাত্রছাত্রী দুষ্টুমি করায় অজয়বাবু চেলা কাঠ দিয়ে ৬/৭ জন ছাত্রছাত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের ফলে গুরুতর আহত এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে খুদে পড়ুয়ারা। এরপর তারা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। আহত ছাত্রছাত্রীদের আঘাত বেশি থাকায় তাদের চিকিৎসা করানো হয়েছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, অজয় শিটের এমন মূর্তি দেখে আর তার পেটানোর বহর দেখে ভয়ে এখন তাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল আসতে চাইছে না। এই অবস্থায় অভিভাবকরা অভিযুক্ত অজয় শিটের শাস্তির দাবিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদ্যুত পোদ্দারকে ঘেরাও করে শনিবার বিক্ষোভ দেখান।

ইতিমধ্যে অভিযুক্ত অজয় শিটের বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিভাবকরা। অজয় শিটের বিরুদ্ধে উঠেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ- জানা গেছে, স্কুলের শিক্ষক কোনওদিন না আসলে ঐ অশিক্ষক কর্মী ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসও করাতেন। কি অবস্থা তাহলে বুঝুন। তবে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত অজয় শিট।

এসব ঘটনায় যে প্রধান শিক্ষকের সমর্থন ছিল সেটা কিন্তু স্কুলের ঐ প্রধান শিক্ষক নিজেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা দুস্টুমি করলে যেরকম শাসন করা উচিৎ, ও তো  সেটাই করেছে।তবে, একজন অশিক্ষক কর্মচারী কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিত তার কোনও জবাব কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মেলেনি।

Published on: মার্চ ১৭, ২০১৮ @ ২১:৪৬

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

85 + = 95