দার্জিলিংযে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়-শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন আরও অনেক কিছু

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-কৃষ্ণা দাস

Published on: সেপ্টে ৫, ২০১৮ @ ১৬:৫৫

এসপিটি নিউজ, দার্জিলিং, ৫ সেপ্টেম্বরঃ পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করে এবার দার্জিলিংযে পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মংপুতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি দার্জিলিং হিল ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথম পাহাড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। এটি মূলত রাজ্য সরকারের অনুদানে হচ্ছে। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট, টি ম্যানেজমেন্ট, হর্টিকালচার, হিমালয়ান স্টাডিজের পাশাপাশি হিউম্যানিটিজ, সায়েন্স, তথ্য-প্রযুক্তি ও গণমাধ্যম বিষয় পড়ার সুযোগ থাকবে।

রাজ্য শিক্ষা, সংস্কৃতিতে নবজাগরনের লক্ষ্যে দার্জিলিঙ সহ নতুন জেলাগুলির পাশাপাশি হুগলি, বোলপুর, ঝাড়গ্রাম, আলিপুরদুয়ারের মত আরও অন্যান্য জেলায় একাধিক নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বোলপুরে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, হুগলিতে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়, ঝাড়গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাও ঘোষনা করলেন তিনি। সেইসঙ্গে পাহাড়ে “এশিয়ান কালচারাল ফেস্টিভ্যালে” র ঘোষনাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দার্জিলিঙ’এ দার্জিলিঙ হীল ইউনিভারসিটির শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের আরও একাধিক নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

এদিন সরকারি এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ছেলে মেয়েদের আর বাইরের রাজ্যে পড়তে যেতে হবে না। তারা সকলেই তাদের নিজস্ব স্থানেই উচ্চশিক্ষা নিতে পারবে। রাজ্যের শিক্ষা, সংস্কৃতিতে নবজাগরনের লক্ষ্যে এই সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তৈরি করা হবে। পাশাপাশি এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কর্মসংস্থানও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে হাজির থেকে তিনি মঞ্চেই ডা. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শিক্ষক দিবস পালন করেন। তিনি নলেন, এই প্রথম আমি দার্জিনিং-এ শিক্ষক দিবস পালন করলাম।

এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জাকার্তা এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে সোনা জয়ী স্বপ্না বর্মনের পরিবারকে সম্মানিত করেন।তিনি বলেন, আমাদের বাংলার মেয়ে আজ দেশের সম্মান রক্ষা করেছে। আমরা আজ তাঁর জন্য গর্বিত। আমরা সকলেই তাঁর আরও সাফল্য কামনা করি।

এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও অনেক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে সরকারি সাহায্য তুলে দেন একটা বড় অংশের হাতে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন পাহাড়ের স্কুলছাত্রদের হাতে স্কুল ব্যাগ ও রেইন কোট তুলে দেন।একই সঙ্গে তিনি এদিন পাহাড়ের স্কুল ছাত্রদের জন্য একাধিক সরকারি প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন-“আমরা সবসময় চাই আমার পাহাড়ি ভাই-বোনের মুখে সবসময় হাসি থাকুক। পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ন্যায়।”

মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনার জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচী কাট-ছাঁট করা হয়। বিকেলেই তিনি বাগডোগরা থেকে কলকাতায় ফিরে যান।

Published on: সেপ্টে ৫, ২০১৮ @ ১৬:৫৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 4 =