জঙ্গলমহলে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে তিনটি হাতির অকাল মৃত্যু- প্রশ্ন উঠল, এর দায় কার

Main দেশ বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল

ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: জুলা ১০, ২০১৯ @ ১৪:১৫

এসপিটি নিউজ, বিনপুর, ১০জুলাই: এভাবে এক সঙ্গে এতগুলি হাতির মৃত্যু! পশ্ন উঠল এর দায় কার? কে নেবে এই ঘটনার দায়? এর আগে একাধিক ঘটনায় বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে পশ্ন উঠেছিল। বুধবার ফের উঠল সেই প্রশ্ন। বিনপুরের সাতবাঁকি এলাকার কাছে হাইটেনশন তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল ত্রতাজা তিনটি পূর্ণবয়স্ক হাতি।

যেভাবে মৃত্যু হল এই তিনটি হাতির

জানা গিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিনপুরের কুশবনির জঙ্গলে হাতির দল জড়ো হয়েছিল। যেখানে মোট ২০টি হাতি ছিল। সেইসময় তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে বেলপাহাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অনেকটা পথ তারা চলেও এসেছিল। কিন্তু যারা তাদের তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তাদের জানা ছিল না সামনে হাইটেনশন তার আছে। আর এই হাতির মধ্যে যারা বড় হাতি তাদের শরীর সেই তারে ছুঁয়ে যেতে পারে, যা থেকে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল যখন হাতির দলটি সাতবাঁকি এলাক্র মধ্যে চলে আসে। ছোট হাতিগুলি অনায়াসে পার হয়ে যায়। কিন্তু বিশালাকার তিনটি হাতি পারল না তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে যেতে। হাইটেনশনের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেখানেই লুটিয়ে পড়ল ওই তিনটি বিশালাকার হাতি। মৃত্যু হল তাদের।

উঠল এই প্রশ্নগুলি

বুধবার সকাল থেকে ঘটস্থালে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে। এক পশুপ্রেমী কিছুটা ক্ষোভ আর দুঃখের সঙ্গে বলেন- “এখানে যারা ভিড় করেছে তারা তো গ্রামের মানুষ। বলুন তো এরা সত্যিই কি ব্যথিত এই তিনটি হাতির মৃত্যুতে। সবাই সেখানে এসে মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত আর সেলফি নিতে ব্যস্ত। বন দফতরও এসেছে। একটু পরে এই দেহগুলির ময়নাতদন্ত হবে। কিন্তু এতে কি এই সমস্যার আদৌ কোন সমাধান হবে? এই যে হাতিগুলিকে যেভাবে ড্রাইভ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটা কি সঠিক পদ্ধতি? যারা নিয়ে যাচ্ছিল তারা কি জানত না সামনে হাইটেনশন তার আছে, যেখানে গেলে হাতিগুলির ম্রর‍্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে? এদের কি সঠিক কোন পরিকল্পনা আছে? জঙ্গলমহলে হাতির উৎপাত দীর্ঘদিনের। এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু জায়গাটি এমন এক অবস্থানে আছে যেখানে প্রাণী ও মানুষ এক সঙ্গে থাকবে। এখানে যাতে কারও কোনও সমসায় না হয় সেতা দেখা বন দফতরের কাজ। কিন্তু তারা কি তাদের কাজ ঠিকভাবে করতে পারছে? এই সমস্যা সমাধানে কেন বিশ্ব বন্যপ্রাণ বিভাগের পরামর্শ নেওয়া হয় না। কেন হাতি দেখভাল বা নজরদারির জন্য প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ করা হয় না? এখন এর দায় কার উপর বর্তাবে বলতে পারেন?”

Published on: জুলা ১০, ২০১৯ @ ১৪:১৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 79 = 83