সংবাদদাতা– বাপ্পা মন্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: নভে ১৭, ২০১৮ @ ১০:০৭
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১৭ অক্টোবরঃ শুক্রবার দলের কোর কমিটির বৈঠক সেরেই তৃণমূলের মন্ত্রী-নেতারা ফিরে যান নিজেদের এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে যান ঠিক তেমনই তাঁর একনিষ্ঠ সহুকর্মী মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীরও পৌঁছে গেছিলেন মেদিনীপুর শহরে। যেখানে তিনিও বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন। যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি একতা, সার্বভৌমত্ব আর ঐক্যের কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে মানুষকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকহিতকর আর জন্মুখী উদ্দেশ্য সাধনের কর্মকাণ্ডের আর তাঁর স্বচ্ছ চিন্তা-ভাবনার বার্তা পৌঁছে দেন।
“রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মকে সর্ব্বজনীন রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ধর্ম আমার। ধর্ম তোমার। উৎসব সকলের। তাই সকলে উৎসবে সামিল হয়েছেন। নিষ্ঠা বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে মেদিনীপুরে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে। আট থেকে আশি সকল মানুষ সামিল হয়েছেন এই উৎসবে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন-আমরা সব পুজোতে থাকি-দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছট পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ঠিক তেমন বিশ্ব নবি দিবস, ঈদ, গিরু নানকের জন্মদিন, রাস পূর্নিমা। ঐতিহ্য মেনে আমরা সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে থাকি।” বলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এরপর মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। মেদিনীপুর নাম উচ্চারন করে বলতে থাকেন-“আমি মেদিনীপুরের ছেলে যে মেদিনীপুরের ছেলে ক্ষুদিরাম দেশের জন্য আল্ম বলিদান দিয়েছন, মাতঙ্গিনী হাজরার মত একজন স্বাধীনতা সাংরামীর জন্ম দিয়েছে এই মেদিনীপুর। তাই জেলে ভাগ হলেও তবু আমি মেদিনীপুরের ছেলে। সাত বছর সাংসদ ছিলাম। বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। সেখানেও আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলেছি আমি মেদিনীপুরের ছেলে।”
এদিন তিনি প্রথমে মেদিনীপুর শহরের কর্নেল গোলা নবীন-প্রবীন সম্প্রদায়ের পুজোর উদ্বোধন করে এই কথাগুলি বলেন। মন্ত্রী শুভেন্দু শুক্রবার রাতে মানুষের ঢল দেখে অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন-এত রাতেও যে এত মানুষের ভিড় হতে পারে তা মাকে মুগ্ধ করেছে। এখান থেকে বেরিয়ে তিনি মেদিনীপুর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌ রাইয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন যে পুজো এবছর ১০ বছরে পড়ল। এখানে কাউন্সিলর মৌ রায় মন্ত্রীকে অভিনব উপায়ে স্বাগত জানান। মুক-বধির ছেলেমেয়েদের নৃত্যের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় মন্ত্রীকে।
এখান থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী পৌঁছন মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন খোয়েরুল্লাচকের পুজো মন্ডপে। যেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্ব ‘শুভেন্দু অধিকারীর’ মাথা চাই বলে মাওবাদী পোস্টার পড়েছিল। সেখানে তিনি পুজোর উদ্বোধন করেন। তবে একবারের জন্য রাজনীতির বক্তব্য রাখেননি। এই অনুষ্ঠানে তিনি শ’খানেক মানুষের হাত শীতবস্ত্র তুলে দেন। এদিনি মন্ত্রীর সঙ্গে সর্বক্ষন উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, দীনেন রায়, মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু সহ অন্যান্যরা।
Published on: নভে ১৭, ২০১৮ @ ১০:০৭