সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: জানু ১, ২০১৯ @ ১৮:২৯
এসপিটি নিউজ, কেশিয়াড়ি, ১ জানুয়ারিঃ নতুন বছরের শুরুতেই নিজের পুরনো ফর্মে ফিরে গেলেন লড়াকু তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বাম আমলে যার লড়াইতে কখনও নন্দীগ্রাম কখনও নেতাই আবার কখনও জঙ্গলমহলের নানা প্রান্তে ‘অভিযুক্ত সিপিএম’ নেতা থেকে কিষেনজির মতো নেতাও হার মেনেছিল ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপির ঘাঁটি হয়ে ওঠা কেশিয়াড়িতে দাঁড়িয়েই তাদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর চুপ করে থাকাকে যেভাবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দুর্বলভাবে দেখেছে আর তার ফল হিসেবে তাঁকে শাঁসিয়ে গেছে সেটা যে শুভেন্দু অধিকারী আর বরদাস্ত করবেন না সেটাই মঙ্গলবার কেশিয়াড়ির সভায় দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন।
বর্ষ বরণের দিনেই তৃণমূল কংগ্রেস ২১ থেকে ২২শে পা দিলো, আর এদিনই দলীয় সভায় যোগ দিয়ে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপিকে কেশিয়াড়িতে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকা্রী। রীতিমতো হুঙ্কার ছেড়ে তাঁর দাবি- “পাঁচ রাজ্যে ভোটে হেরে বিজেপি প্রমাণ করেছে সেমিফাইনালে তারা গো-হারা হেরেছে, লোকসভা নির্বাচন ফাইনাল- সেখানে অলআউট হয়ে যাবেন। বাংলা থেকে ৪২টি আসন দখল করে দিল্লির চাবি ঘোরাবে মমতা ব্যানার্জি।”
এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে আরও আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে বিজেপির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন- “মাওবাদী-সিপিএমকে সোজা করে দিয়েছি, কিষেনজি অনুজ পান্ডে ডালিম পান্ডের থেকে আপনারা বড় নয়।” সেই সঙ্গে তাদের আরও একটা কথা এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। গত একুশে জুলাইয়ের সভায় এই কেশিয়াড়িতে তৃণমূলের বহু কর্মীকে কলকাতায় যাওয়ার পথে আটকে দিয়েছিল বিজেপি। এমন অভিযোগ উঠেছিল।
সেই কথা মনে করিয়ে এদিন কেশিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর হুঙ্কার-“গত একুশে জুলাই এখানে কেউ কেউ আমাদের কর্মীদের বাধা দিয়েছিলেন, আগামী ১৯ তারিখ একবার বাধা দিয়ে দেখুন, নিতাই গিয়ে আমি যদি লাশ তুলতে পারি তাহলে এখানে,,আমার বাড়ি থেকে নেতাই ৩ ঘণ্টার রাস্তা, আর কেশিয়াড়ি ১ ঘন্টা ১০ মিনিটের পথ। মনে রাখবেন- “যেমন অসুখ তেমন ওষুধ।”
Published on: জানু ১, ২০১৯ @ ১৮:২৯