চুমু আর জড়িয়ে ধরাঃ বিশ্বকাপে সেরা আকর্ষণ ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট

খেলা বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: জুলা ১৮, ২০১৮ @ ১৭:৪৫

এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ এবারের ফিফা বিশ্বকাপে রাশিয়ায় চুমু খাওয়ার প্রবণতা যে কি ভীষণ পরিমাণে ছিল তা অনেকেই টের পেয়েছেন। একদা কম্যিউনিজম-এ যে দেশ ছিল অন্যরকম সেই দেশ যে আজ এত খোলামেলা তা বোধ হয় এবার সারা বিশ্ব টের পেল। চুমু খাওয়া আর জড়িয়ে ধরা ছিল এবারর বিশ্বকাপে যেন রুটিন। পুরুষ ও মহিলা উভয় সাংবাদিক এর ভুক্তভোগী। তবে এদের সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন একজন-তিনি হলেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুন্দরী মহিলা কলিন্দা গ্র্যাবার-কিতারোভিচ।

তাঁকে দেখা গেছিল প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে শেষ-১৬-র ম্যাচে। ক্রোয়েশিয়ার অনবদ্য খেলা দেখে ভিআইপি বক্সে তাঁকে লাফিয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছিল। শেষে যখন টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়া জিতে গেল তখন তাঁকে পায় কে। মুক্ত ঝরা হাসি আর তার সুন্দর মুখশ্রী হয়ে উঠল ক্যামেরা ম্যানদের মূল টার্গেট। একে সুন্দরী তার উপরে আবার ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট এমন সুযোগ কি হাতছাড়া করা যায়, অতএব বিশ্বকাপের ‘হানি শট’-এর লক্ষ্য হলেন এই ক্রোয়েশিয়ান সুন্দরী।

তিনি একজন বড় মাপের ফুটবল ফ্যান তা কিন্তু তাঁর উপস্থিতিতেই টের পেয়েছে সারা বিশ্ব। তাঁর মতো এমন আর একজনকেও পাওয়া যায়নি কিংবা দেখা যায়নি যিনি দেশের খেলার সময় ভিআইপি বক্সে বসে সমানে তাঁর দলকে সমানে উৎসাহ দিয়ে গেছেন।

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠার পর ক্রোয়েশিয়ান এই সুন্দরী প্রেসিডেন্ট সবাইকে অবাক করে দিয়ে সটান ঢুকে পড়েন খেলোয়াড়দের লকার রুমে। সেখানে ঢুকেই তিনি তাঁর দেশের ফুটবলারদের জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। এরপর তাদের জড়িয়ে ধরেন আনন্দে। নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এখানেই শেষ নয়, ফাইনালের জন্য অপেক্ষা করেছিল আরও অনেক কিছু।ফাইনাল ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। ভিআইপি বক্সে স্বভাবতই ক্যামের তাক করা ছিল। মাঝে মাঝেই সেদিকে ফোকাসড করছিল ক্যামেরা।

ফাইনাল ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন ফরাসি প্রসিডেন্ট ও ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট। দু’জনে এগিয়ে গেলেন পরস্পরের দিকে। একে অপরকে কাছে টেনে নিলেন। জড়িয়ে ধরলেন। দু’জনে দু’জনের গালে চুমু খেলেন। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব ভাইরাল হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। তবে দুই প্রেসিডেন্ট এটিকে খুব স্পোর্টিংলি নিয়েছেন।দেশ হেরে গেলেও ক্রোয়েশিয়া যে ফুটবলের কয়েকটি সেরা দলকে হারিয়েছে সেটাই তাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার বলে মনে করেছেন ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট। তাঁকে এতটুকু বিমর্ষ দেখায়নি। বরং গ্র্যাবার-কিতারোবিচ ছিলেন বেশ প্রাণবন্ত।

আসুন যেনে নেওয়া যাক এই মহিলার পরিচয়।

৫০ বছর বয়সি এই সুন্দরী মহিলার জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ এপ্রিল তৎকালীন যুগোশ্লাভিয়ার ক্রোয়েশিয়ান অংশে। তাঁর স্কুল জীবনের একটা সময় কেটেছে নিউ মেক্সিকোর লস অ্যালামস হাইস্কুলে। এরপর তিনি অধ্যয়ন করেন জাগ্রিব, ভিয়েনা, ওয়াশিংটন ডিসি এবং হার্ভার্ড-এ। গ্র্যাবার-কিতারোভিচ অনর্গল ক্রোয়েশিয়া, ইংরাজি, স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলতে পারেন। যদিও তিনি বুঝতে পারেন জার্মান, ফ্রেঞ্চ এবং ইতালিয়ান ভাষাও।

তিনি হলেন ক্রোয়েশিয়ার চতুর্থ প্রেসিডেন্ট। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের প্রথম মহিলা হিসেবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ক্রোয়েশিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন-এ একাধিক পদে আসীন ছিলেন। আমেরিকায় দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। ন্যাটোর অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেলেরও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

Published on: জুলা ১৮, ২০১৮ @ ১৭:৪৫

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

93 − 91 =