কাঁথিতে অভিষেকের হুঙ্কার- তোর বাপকে গিয়ে বল তোর বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি যা করার কর-আয় !

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

“এই মেদিনীপুরে তোমার মাটিতে তোমার পাড়ায় তোমার এলাকায় দাঁড়িয়ে তোমায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম। চার আনার নকুল দানা তার আবার ক্যাশ মেমো। আমাকে থ্রেট দিচ্ছে! আগামী দু’মাসের মধ্যে আরও ৫০ বার আসবো। জামানত বাজেয়াপ্ত করবো।”-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Published on: ফেব্রু ৬, ২০২১ @ ১৯:৪৭

এসপিটি নিউজ, পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ ফেব্রুয়ারি:   পূর্ব ঘোষণা মতোই আজ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির জনসভায় ফের শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে গোটা বক্তৃতা জুড়েই তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দেগে গেলেন। এক সময় উত্তেজিত হয়ে রীতিমতো ঝাঁঝিয়ে বলে ওঠেন- “আরে তোর বাপকে গিয়ে বল তোর বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি যা করার কর-আয়! আয়! আয়!হিম্মত আছে? এই মেদিনীপুরে তোমার মাটিতে তোমার পাড়ায় তোমার এলাকায় দাঁড়িয়ে তোমায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম। চার আনার নকুল দানা তার আবার ক্যাশ মেমো।”

পাঁচ কিলোমিটার দূরেই তো শান্তিকুঞ্জ! সেটা যেন থরথর করে কাঁপে

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের বক্তৃতার প্রথম অংশ থেকেই ছিল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আক্রমণ। অভিষেক বলতে থাকেন- ” মেদিনীপুরের আবেগ-বিশ্বাসকে যে দিল্লির কাছে বিক্রি করেছে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন। আরও জোরে আওয়াজ তুলুন। পাঁচ কিলোমিটার দূরেই তো শান্তিকুঞ্জ(শুভেন্দুর বাড়ির নাম)! সেটা যেন থরথর করে কাঁপে।জোরে আওয়াজ তুলুন। আগামিদিন লড়াই হবে।মেদিনীপুরের মানুষের বিশ্বাস-আশ্বাস-আবেগ নিয়ে যে ছেলেখেলা করেছে তাকে জবাব দেবেন। এই মাটি বীরপুত্র ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-বর্ণপরিচয়ের স্রস্টা। সেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ২০১৯ সালের ১৪ মে কলকাতার বুকে যার নেতৃত্বে ভাঙা হয়েছিল তার পদলেহন করে উনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন। লজ্জা করে না, মেদিনীপুরের আবেগ নিয়ে কথা বলছে। মেদিনীপুরের মানুষ কখনো শিরদাঁড়া বিক্রি করতে শেখেনি।”

এই মেদিনীপুরের যেখানে দাঁড়াবে তোমাকে ৫০ হাজার ভোটে হারাবো-অভিষেক

এরপর নন্দীগ্রামে মমতার ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে শুভেন্দুকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন- “আপনারা এতদিন ভোট দিয়েছেন সরকার নির্বাচিত করতে। তার সাথে ভোট দেবেন। এবার পূর্ব মেদিনীপুর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নন্দীগ্রাম থেকে লড়বেন ঘোষনা করেছেন। আর স্টিয়ারিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তাই গাত্রোদাহ হচ্ছে। তার কারণ কি- বলছে, হাফ লাখ ভোটে হারাবো। কিন্তু নিজে দাঁড়াবো, সেটা বলছে না। আর্‌ আপনি এত বড় নেতা,নন্দীগ্রামের নায়ক, বিজেপির জননেতা বলেন নিজেকে। আমি বুঝতে পারলাম আপনার দলে অনেক নিয়ম আছে। অনেক কিছু ভেবে-চিন্তে আপনাকে চলতে হয়। তা আপনি বলছেন না কেন, নন্দীগ্রামের সিটে আমাকে দাঁড় করান। ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। কাউকে একটা মুরগি করে নিয়ে যাবে। তাকে গর্তে ধাক্কা দিয়ে দেবে। আর নিজে বলবে দাঁড়াবো না।”

এরপরেই অভিষেকের চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুকে, নাম না করে বলেন-” এই মেদিনীপুরের যেখানে দাঁড়াবে তোমাকে ৫০ হাজার ভোটে হারাবো- এই মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে আমরা কথা দিয়ে গেলাম। কাউকে হারাতে হবে না, মেদিনীপুরের মানুষই যথেষ্ট।অনেকে বলত না অধিকারী গড়। অধিকারী গড় আবার কী!এই জেলা তো মেদিনীপুরের মানুষের। অধিকারী গড় আবার কী।”

চার আনার নকুল দানা তার আবার ক্যাশ মেমো

এরপরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন অভিষেক। বলেন- আমার এখানে সভা আছে সাত-আট দিন আগে আমি বলেছিলাম। ফেসবুকে আবার অনেকে ভিডিও ছাড়ছে। যাতে ভয়ে আমি না আসি। আমাকে ভয় দেখাবে। আমাকে ভাবছে হয়তো ধমকে-চমকে আটকে রাখবে। এমনিতে তো জোকারের মতো মুখ তার উপর আবার বড় বড় কথা। আমাকে বলছে -এলে দেখে নেব। যদি না শুধরোয়। এই করবো তাই করবো! আরে তোর বাপকে গিয়ে বল তোর বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি যা করার কর-আয়! আয়! আয়!হিম্মত আছে? এই মেদিনীপুরে তোমার মাটিতে তোমার পাড়ায় তোমার এলাকায় দাঁড়িয়ে তোমায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম। চার আনার নকুল দানা তার আবার ক্যাশ মেমো। আমাকে থ্রেট দিচ্ছে! আগামী দু’মাসের মধ্যে আরও ৫০ বার আসবো। জামানত বাজেয়াপ্ত করবো।”

১৫ মিনিট বক্তব্য রাখে ১০ মিনিট খালি ভাইপো ভাইপো

না থেমে এক নিঃশ্বাসে অভিষেক বলে চলেন- “কথা দিয়ে যাচ্ছি – নেত্রী তো নিজে নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াচ্ছে।যারা মেদিনীপুরের মান-সম্মান দিল্লির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে না তাদের করায়-গণ্ডায় জবাব দেবে কাউকে কিছু করতে হবে না। কথায় কথায় বলছে- ঘুমোচ্ছে ভাইপো। উঠছে ভাইপো। সকালে হাঁটছে ভাইপো। খাচ্ছে ভাইপো। আতঙ্ক হয়ে গেছে। ১৫ মিনিট বক্তব্য রাখে ১০ মিনিট খালি ভাইপো ভাইপো করছে। এত ভয়! এখন আবার আমার সঙ্গে লড়াই না করে আমার বউকে টার্গেট করেছে। বলছে, আমার বউ-এর নাকি এখানে অ্যাকাউন্ট আছে সেখানে অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বউ-এর কলকাতা ছাড়া কোথাও অ্যাকাউন্ট নেই। আমি তো তথ্য পরিসংখ্যান সামনে রেখে দিয়েছি। কি বলছে, আমার বউ নাকি দু’বছর আগে এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছে। তা তোর সিআইএসএফ আর সিবিআই কি নাকে নস্যি দিয়ে ঘুমোচ্ছিল। এয়ারপোর্টে তো ৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। আমি তো চ্যালেঞ্জ করছি। যদি ধরা পরে থাকে তাহলে সেই ফুটেজ তোমরা কেন পাবলিস করছো না।”

Published on: ফেব্রু ৬, ২০২১ @ ১৯:৪৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 4 = 1