কম্বোডিয়ায় উদ্ধার ৩ টন আফ্রিকান হাতির দাঁত

Main দেশ বন্যপ্রাণ
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ১৬, ২০১৮ @ ২৩:৫২

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ মোজাম্বিক থেকে পাঠানো একটি স্টোরেজ কন্টেইনারে লুকানো ৩.২ টন হাতির দাঁতের টুকরো কম্বোডিয়ায় আটক করা হয়েছে, কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা রবিবার একথা বলেছেন। যা দেশের বৃহত্তম হাতির দাঁতকে চিহ্নিত করেছে।

মার্কিন দূতাবাসের কাছ থেকে একটি খবর পাওয়ার পরই ফনোম পেন অটোনোমাস পোর্টে বৃহস্পতিবার ১০২৬টি দাঁত আবিষ্কার করা হয় এবং অবৈধ বন্যপ্রাণীর মাল্টিবিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের জন্য একটি প্রধান আঞ্চলিক ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে কম্বোডিয়ার উত্থানকে তুলে ধরে।

বন্দরের কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ অফিসের ডাইরেক্টর সুন ছেয়ে এএফপিকে বলেন, “হাতির টুকরা পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি পাত্রে সজ্জিত ছিল।”তিনি বলেন, হাতির দাঁত দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিক দেশ থেকে পাঠানো হয়েছিল এবং গত বছর তা বন্দরে পৌঁছেছিল।এক অজ্ঞাতপরিচয় মালিক বন্দরে এগুলি নিতে এসেছিল।হাতির দাঁতগুলি এমন ভাবে ছড়িয়ে রাখা ছিল যা দেখে মনে হয়েছে এসব এক মূল্যবান জিনিস।সুন ছেয়ে বলেন, চালানটি অন্যান্য দেশের বাজারের জন্য নির্ধারিত ছিল কিনা তা তিনি জানেন না।

চিন ও ভিয়েতনাম থেকে আসা চাহিদা পূরণ করতে কম্বোডিয়ায হয়ে অবৈধ বন্যপ্রাণী পাচার বৃদ্ধি করেছে।দুর্বল আইন প্রয়োগকারী এবং দুর্নীতি বন্যপ্রাণ পাচারকারীদের আকৃষ্ট করে, বিশেষত এমন সময় যখন প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে নিষিদ্ধ বাণিজ্যে হ্রাস পাচ্ছে।হাতির দাঁত তার সৌন্দর্যের জন্য মূল্যবান, যখন ঐতিহ্যগত ঔষধের বাজারে গাইনো শিং এবং প্যাংলিনের স্কেলের চোরাচালান ঘটেছে।কম্বোডিয়ায় একটি ক্ষুদ্র হাতির জনসংখ্যা রয়েছে তবে এটি একটি নতুন পাচার কেন্দ্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে যার ফলে গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকটি শিরোনামে উঠে এসেছে।

২০১৪ সালের মত এই সপ্তাহের আগে যখন কম্বোডিয়ান কাস্টমস সিহানউকভিলের দক্ষিণ-পশ্চিম বন্দরে বীজের একটি পাত্রে লুকানো প্রায় তিন টন হাতির দাঁত বাজেয়াপ্ত করেছিল।ছবি-এএফপি

Published on: ডিসে ১৬, ২০১৮ @ ২৩:৫২

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 72 = 82