সংবিধান দিবসঃ ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা, পরিবারভিত্তিক দল নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, বললেন এই কথাগুলি

Main দেশ
শেয়ার করুন

Published on: নভে ২৬, ২০২১ @ ২১:০৭

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  আজ সংবিধান দিবস। সংসদ ভবনে আয়োজিত হয় এক অনুষ্ঠান। সেখানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা সহ বিশিষ্ট জনেরা। সংবিধান দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা থেকে শুরু করে দেশে পরিবারভিত্তিক দল নিয়েও সরব হন। নিজের সুস্পষ্ট মতামত তুলে ধরেন সকলের সামনে।

প্রধানমন্ত্রী ২৬/১১-এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বলেন- “আজ, ২৬/১১ আমাদের জন্য এমন একটি দুঃখের দিন, যখন দেশের শত্রুরা দেশের ভিতরে এসে মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। দেশের বীর সেনারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ আমি তাদের আত্মত্যাগের প্রতি প্রণাম জানাই।”

এই বাড়িটিকে শুভেচ্ছা জানানোর দিন

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বাবাসাহেব আম্বেদকর, ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ, বাপু এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের মতো দূরদর্শী মহান ব্যক্তিত্বদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। আজ এই বাড়িটিকে শুভেচ্ছা জানানোর দিন। এ ধরনের অকুতোভয় নেতাদের নেতৃত্বে অনেক মন্থন-আলোচনার পর আমাদের সংবিধানের অমৃত ফুটে উঠেছে, তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের এই ঘরেও আজ মাথা নত করার দিন।

আমাদের সংবিধান সহস্রাব্দের একটি মহান ঐতিহ্য

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আমাদের সংবিধান শুধু বহু অনুচ্ছেদের সমষ্টি নয়,  আমাদের সংবিধান সহস্রাব্দের একটি মহান ঐতিহ্য। এটি সেই অবিচ্ছিন্ন স্রোতের আধুনিক অভিব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান দিবসও পালিত হওয়া উচিত কারণ আমাদের চলার পথটি সঠিক কি না তা প্রতিনিয়ত মূল্যায়ন করা উচিত।

পরিবারভিত্তিক দলগুলোর জন্য ভারত এক ধরনের সংকটের দিকে যাচ্ছে-প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবারভিত্তিক দলগুলোর আকারে ভারত এক ধরনের সংকটের দিকে যাচ্ছে, যা সংবিধানের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ মানুষের জন্য উদ্বেগের বিষয়, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, “একটি পরিবারের একাধিক ব্যক্তি যোগ্যতার ভিত্তিতে দলে যোগ দিলে তা দলকে বংশবাদী করে না। সমস্যা দেখা দেয় যখন একটি দল একই পরিবার দ্বারা পরিচালিত হয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম।” প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সংবিধানের চেতনাও আঘাত পেয়েছে, সংবিধানের প্রতিটি ধারাও আঘাত পেয়েছে, যখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়ে ফেলে। “ যে দলগুলো তাদের গণতান্ত্রিক চরিত্র হারিয়েছে তারা কীভাবে গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে?” প্রশ্ন তোলেন তিনি।

স্মৃতি গ্রন্থ আকারে বাবাসাহেবের অবদানকে স্মরণ করা উচিত

‘সংবিধান দিবস’ উদযাপনের পিছনের চেতনা সম্পর্কে বিশদভাবে বলেন  প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন- “বাবাসাহেব আম্বেদকরের ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে, আমরা সবাই অনুভব করেছি যে বাবাসাহেব আম্বেদকর এই দেশকে যে উপহার দিয়েছিলেন তার চেয়ে বড় শুভ উপলক্ষ আর কী হতে পারে। স্মৃতি গ্রন্থ (স্মৃতগ্রন্থ) আকারে তাঁর অবদানকে আমাদের সর্বদা স্মরণ করা উচিত।” তিনি বলেন, ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সেই সময়েই ২৬ নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’ প্রতিষ্ঠা করা হলে ভালো হতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনে অধিকারের জন্য লড়াই করেও মহাত্মা গান্ধী জাতিকে কর্তব্যের জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছিলেন। “দেশের স্বাধীনতার পর দায়িত্বের ওপর জোর দিলে ভালো হতো। আজাদী কা অমৃত মহোৎসবে, আমাদের জন্য কর্তব্যের পথে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন যাতে আমাদের অধিকার সুরক্ষিত হয়”, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

Published on: নভে ২৬, ২০২১ @ ২১:০৭


শেয়ার করুন