ওস্তাদ জাকির হোসেনের শিব-সাধনাঃ তবলায় বোল তুললেন শঙ্খ-ডমরুর

Main দেশ বিনোদন
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ৩, ২০১৯ @ ১২:১৭

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ ওস্তাদ জাকির হোসেন আর তবলা যেন সমার্থক হয়ে গেছে। সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল ভোপালের এক সঙ্গীত সম্মেলনে। তাঁর তবলায় যেন জাগ্রত হয়ে উঠলেন স্বয়ং মহাদেব। হ্যাঁ, তিনি জাগ্রত হলেন তবলার তালের মধ্যে শব্দের মধ্যে, ছন্দের মধ্যে।

ভোপালের ভারত ভবনে ছিলেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। আর তাঁর তবলা ছিল শিবধাম কৈলাসে। কৈলাসের রচনা ধ্বনি কেমন হতে পারে যা তৈরি করে গেছেন ওস্তাদ আল্লারাখা সেটাই আবার জাগিয়ে তুললেন তবলার বোলের মধ্যে দিয়ে এ যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী। প্রথমে তো ওস্তাদের আঙুল শিব তান্ডব দেখাল। ফের তান্ডবের ‘তা’ এবং তাকে শান্ত করার জন্য গৌরীর লাস্য নৃত্যের ‘ল’ নিয়ে তালের ছন্দ গরে তুললেন। তাণ্ডবের সময় তবলায় বেজে ওঠে ডমরু। প্রথমে ধীরে-ধীরে। ফের তাতে গতি আরও গতি আরও গতি ও তেজোময়। এরই মাঝে মাঝে যখন শঙ্খের ধ্বনি বাজতে থাকে, তখন দর্শক কিংবা শ্রোতারা ভোপালের ভারত ভবনে নয় মনে হচ্ছিল তারা সকলেই কৈলাসে আছেন।

শঙ্খ আর ডমরুর মাঝে গণেশ আর গৌরীর উপস্থিতি এত সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হচ্ছিল ওস্তাদ জাকির হোসেনের আঙ্গুলের শৈলীতে দর্শ আশ্চর্য হয়ে গেছে। এরপরই তাঁর পিতা ওস্তাদ আল্লারাখা সাহেবের শৈলী প্রদর্শিত হয় ওস্তাদ জাকির হোসেনের শৈলীতে। প্রথম কায়দায় তিনি ‘তিরকিট’-কে উলটো করে ‘কিট তক’ করেন। এরপর কিছু লহরী ‘গত’ শোনা যায় তারপরই সামনে হিরণ-পরণ।

এর আগে হিরণ-সহমা, ফের তরন্নার আওয়াজের সঙ্গে ঝোঁকেন এবং শিকারিকে দেখে কিভাবে সে অদৃশ্য হয়ে গেল তা তো প্রেক্ষগৃহে উপস্থিত দর্শকদের হাততালির মধ্য দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যায়। শ্রোতারা তখন হতভম্ব আর ওস্তাদ তাঁর আঙুলের শৈলী প্রদর্শন দেখিয়ে চলেছেন। আরে বাঃ ওস্তাদ বাঃ।

গায়কীতে যেভাবে ভৈরবী হয়ে থাকে ঠিক তেমনই তবলায় হয়ে রেলা। রেলা চলতেই থাকে। উপরে আকাশ থেকে ফোটা ফোটা পড়তে থাকে আর ওস্তাদের তবলার বোলে বৃষ্টি পড়া শুরু হয়। সেই আওয়াজ এমনই টিপটিপ থেকে শুরু হয়ে ঝমাঝম। যেখানে বাদলের ঘনঘটা আর বিদ্যুতের ঝালকানির শব্দ এসবই তবলার রেলায় শোনা যেতে থাকে। সবাই হাত তালি দিয়ে চলে -আর বলতে থাকে আরে বাঃ ওস্তাদ বাঃ। এ তো তুমে বহুদ আচ্ছা দেখা দিয়ে কামাল।

Published on: মার্চ ৩, ২০১৯ @ ১২:১৭


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

33 + = 35