ওগো, মারি দিলো গো, তারপরই সব শেষ

বন্যপ্রাণ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                                ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: মে ২২, ২০১৮ @ ২৩:৩৮

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ২২মেঃ কেন্দু পাতা সঙ্গগ্রহ করতে গিয়ে যে বেঘোরে প্রাণটাই চলে যাবে তা কি কোনওদিন ভেবেছিল সীতামণি পাল(৪৫)। যা ভাবেননি তাই বিপদ হয়ে ধেয়ে এল তাঁর জীবনে। দাঁতাল শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মারল। স্বামী সীতারাম পাল সেই বিভীষিকাময় মুহূর্ত ভুলতে পারছেন না। কাঁপা গলায় শুধু বলছেন-” হাতি যখন ওকে শুঁড়ে পেঁচিয়েছে তখন ওর গলা দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল-ওগো, মারি দিলো গো, তারপর সব শেষ।”

চোখের সামনে এভাবে স্ত্রীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না সীতারাম। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার আখুলডোবা গ্রামে জঙ্গলে এই ঘটনার পর গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানা গিয়েছে, বেলপাহাড়ি থানার ভুলাভেদা রেঞ্জের তামাজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সীতামনি পাল ,তার স্বামী সীতারাম পাল এবং গ্রামের আরো দুজন মহিলা গ্রাম থেকে প্রায় এক কিমি দূরে আখুলডোবার জঙ্গলে অন্যান্য দিনের মতো কেন্দু পাতা সংগ্রাহ করতে গিয়েছিলেন।সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ তারা সবাই জঙ্গলে পাতা সংগ্রহের কাছে ব্যাস্ত ছিলেন। চার থেকে পাঁচ আটি পাতা তারা সংগ্রহ করেছিলেন। আচমকা গাছের পাতার খসখস আওয়াজ শুনে পিছনে তাকাতেই দেখেন একটি মাঝারি আকারের হাতি তাদের দিকে ছুটে আসছে। তারপর তারা সকলে ছুটতে থাকেন। দুই মহিলা ছুটে পালিয়ে যায়। সীতারাম লাফ দিয়ে একটি গাছের ডালে উঠে পড়েন। পিছনে পড়ে থাকে স্ত্রী সীতামণি। হাতিটী তাঁকে সামনে পেয়ে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মারে।

বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক হাতিটি স্থায়ী হাতি নয়।পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে চলে এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

Published on: মে ২২, ২০১৮ @ ২৩:৩৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 38 = 40