‘উত্তরণ’-এর মাধ্যমেই ওদের উত্তরণ ঘটানোর প্রয়াস পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশের

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                                                  ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: সেপ্টে ৪, ২০১৮ @ ২০:০১

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৪ সেপ্টেম্বরঃ অপরাধীকে ধরলেই অপরাধ কমে না- এজন্য খুঁজে বের করতে হবে অপরাধের মূল জায়গাটিকে। সেই মূল জায়গাকে সনাক্ত করতে পারলেই অপরাধ দমন সম্ভব। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অভিজ্ঞ পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া সেটা ধরতে পেরেছিলেন। তিনি দেখলেন জেলায় অপরাধীদের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তা খুবই চিন্তার বিষয়।অপরাধীদের এর পিছনে নেশার দ্রব্য কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি কাজ করে চলেছে। তাই শুধু অপরাধীদের ধরে শাস্তি দিলে হবে না, আগে নেশার জায়গাটাকে ভাঙতে হবে। অর্থাৎ নেশার দ্রব্য বিক্রয়কারীদের ধরতে হবে। সেই সঙ্গে নেশাখোরদের এই পথ থেকে সরিয়ে আনার প্রয়াস চালাতে হবে। তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার উত্তরণ ঘটাতে হবে। আর তাই তারা নতুন প্রকল্প ‘ উত্তরণ ‘ শুরু করল।

পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া বলেন, “বিভিন্ন শহর,  গ্রামীণ এলাকা থেকে যেসমস্ত যুবক ও ব্যাক্তিরা নেশায় আসক্ত হয়ে বেরিয়ে আসতে পারছেন না , তাদের উদ্ধার করে ‘জননী’ নামক একটি নেশা নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করবে পুলিশ। পুলিশের তত্ত্বাবধানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের দেখভাল করবে। মঙ্গলবার এমন দু’জন যুবককে এই প্রকল্পের আওতায় সেখানে পাঠানো হয়েছে।”

“আমরা বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করতে গিয়ে দেখেছি যে তার পেছনে প্রধান কারন নেশা। তাদের গ্রেফতার করলে শুধরানো যায় না। তাদের নেশা থেকে মুক্তি করতে পারলেই সমস্যার সমাধান হবে। একই সঙ্গে যারা এ মাদক বিক্রেতা তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান চলবে, করা হবে গ্রেফতার।” জানান পুলিশ সুপার।

পুলিশের এমন অভনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাদকাসক্ত যুবকরা ও তাদের পরিবারও।

Published on: সেপ্টে ৪, ২০১৮ @ ২০:০১

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

+ 59 = 68