এরকম সরকার আর কোথায় পাবেন? যখনই ডাকবেন তখনই আমায় পাবেন-বেলপাহাড়িতে মমতা

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল

Published on: ফেব্রু ১৫, ২০১৮ @ ২১:২০               

এসপিটি নিউজ, বেলপাহাড়ি, ১৫ ফেব্রুয়ারিঃ ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকে তিনি বলে আসছেন একদিকে জঙ্গলমহল আর এক দিকে পাহাড়। সবাইকে নিয়ে তিনি চলতে ভালবাসেন। বৃহস্পতিবার জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়িতে এক সভায় দাঁড়িয়ে আবারও সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জঙ্গলমহলের উন্নয়নে রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার যেভাবে কাজ করে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সেই কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এরকম সরকার আর পাবেন কোথায়? যখনই ডাকবেন তখনই আমায় পাবেন।

জোর গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটাই হচ্ছে মা-মাটি-মানুষের মর্যাদা। মা-মাটি-মানুষের সরকার এটাই। বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেয়। দু’টাকা কিলো দরে চাল দেয়। মেয়ের বিয়েতে ২৫ হাজার টাকা দেয়। কন্যাশ্রীতে স্কলারশিপ দেয়। কৃষকদের মর্যাদা দেয়। শ্রমিকদের মর্যাদা দেয়।

এরপর তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দিকে আঙুল তোলেন। রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টেনে বলতে থাকেন- “কেন্দ্রে একটা সরকার আছে-কেরোসিন বন্ধ করে দিয়েছে। চিনি কমিয়ে দিয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ব্যাঙ্কে সব টাকা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। জনগণের দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। জনগণের উপর শুধু প্রেশার ক্রিয়েট করছে।”

তারপর রাজ্যের সরকারের কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আর আমাদের এই সরকার মনে রাখবেন আমরা মানুষের পাশে আছি। মানুষের সাথে আছি।মানুষের দুঃখে আছি। মানুষের উপর বোঝা চাপিয়ে মা-মাটি-মানুষের সরকার কিছু করবে না। তাই একবার নয় বারবার আমি ছুটে আসব আপনাদের কাছে। যখনই ডাকবেন তখনই আমায় পাবেন।শুধু একটাই কথা মনে রাখবেন জঙ্গলমহলে এখন উন্নয়নের যজ্ঞ চলছে। জঙ্গলমহলের ছেলে-মেয়েরা এখন রাত-বিরেতে ঘুরে বেড়াতে পারে। কোনও অসুবিধা হয় না।

সেজন্য আপনাদের জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে আবেদন থাকবে জঙ্গলমহলের উন্নয়ন যেন থেমে না যায়। জঙ্গলমহলের শান্তি যেন বিঘ্নিত না হয়। এখানকার মা-ভাই-বোনেরা ভালো থাকুক। এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলের প্রতি তার ভাল লাগার কথাও তুলে ধরেন। তিনি যে এখানে নিয়মিত আসেন সেকথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি তো প্রতি তিন মাসে একবার করে আসি। আমার আসা থেমে নেই। তার মানে আমি মনে করি তিন মাস আমি যদি এক নাগাড়ে না আসি আমার মনে হয় তাহলে কি আমি যাচ্ছি না। কেন যাচ্ছি না! তাহলে কি আমার দিক থেকে কোনও কমতি আছে? আমি এদিকে বার বার ছুটে আসি। বছরে একবার নয় কয়েকবার ছুটে আসি। আগে কেউ তাকিয়েও দেখত না আসত না। মানুষের পাশে থেকে মানুষের কষ্ট বোজবার চেষ্টা করত না। আজ দেখুন তো আজকের এই মিটিং থেকে ২০ হাজার মানুষের কাছে কিছু না কিছু পরিষেবা তুলে দেওয়া হয়েছে।”

একই সঙ্গে এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলের দিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, “কিছুদিন আগে দার্জিলিঙে আগুন লাগানোর চেষ্টা করল। আমি দার্জিলিঙের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা শান্তি ফিরিয়েছেন। জঙ্গলমহলেও চেষ্টা করবে। উঁকি-ঝুকি মারে নির্বাচনের সময়।”

তিনি বলেন, এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে তো! সেইজন্য কেউ কেউ বলবে এটা করো না, ওটা কোররো না  সিপিএমকে ভোট দাও, কংগ্রেসকে ভোট দাও, বিজেপিকে ভোট দাও। একদম দেবেন না।মনে রাখবেন আমাদের পঞ্চায়েতগুলো না থাকলে সবুজসাথী কি করে করব, খাদ্যসাথী কি করে করব? সবুজশ্রী কি করে করব? সমব্যথী কি করে করব? রূপশ্রী কি করে করব? যুবশ্রী কি করে করব?আমাকে কাজটা করতে হয় পঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে। এই পরিষেবাগুলো হয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। পঞ্চায়েতগুলো আমাদের না থাকলে মানুষের এই পরিষেবা দিতে আমাদের অসুবিধা হবে। মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছক এটা আমি চাই।

ছবি সৌজন্য ফেসবুক

Published on: ফেব্রু ১৫, ২০১৮ @ ২১:২০

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 5 = 4