মহিষাদলে স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্মরণসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী দিলেন তাঁর বার্তা

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: নভে ২৯, ২০২০ @ ২১:৫৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর,  ২৯ নভেম্বর: শুভেন্দু অধিকারী আজ কি বলেন সেদিকে গোটা রাজ্যের নজর ছিল। আজ পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে স্বাধীনতা সংগ্রামী স্বর্গীয় রনজিত কুমার বয়ালের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার আগেই সাতগাছিয়ায় তৃণমূলের সভা থেকে শুভেন্দুর নাম না করে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভষায় আক্রমণ করেন। অনেকেই তাকিয়েছিলেন শুভেন্দুীর জবাবে কী বলেন সেই দিকে। সভায় বক্তব্য রাখার জন্য শুভেন্দু এগিয়ে যান। শুরু করেন তাঁর বক্তব্য।

শুভেন্দু বলেন- “দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাম্রলিপ্ত সরকারের নাম। অবিভক্ত মেদিনীপুরের তাম্রলিপ্ত সরকার দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। ১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত সরকার স্বাধীনতা লাভ করে।ডা. সুশীল ধারা সহ একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী তাতে যুক্ত ছিলেন। যুক্ত ছিলেন রণজিত বয়ালের মতো মানুষও। আজ তাঁর স্মরণ সভায় দাঁড়িয়ে আমি বলতে চাই যে এই যে তাম্রলিপ্ত জনকল্যান সমিতি এই স্ম্রণসভার আয়োজন করেছে ডা. সুশীল ধারা মাকে এর সভাপতি করে গেছেন। এত দিন আমি এই সমিতির উপদেষ্টা সহ সভাপতি স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিত বয়ালের নির্দেশ মতো কাজ করে গেছি। এত দিন যেভাবে মানুষের পাশে থেকে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে এসেছি আগামিদিনেও ঠিক একইভাবেই কাজ করে যাব।”

“আগামী ৩ ডিসেম্বর শহীদ ক্ষুদিরামের জন্মদিবস আছে। তা পালন করা হবে। যেভাবে আগে পালিত হয়ে এসেছে। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত সরকারের স্বাধীনতা দিবস আছে। তাও আমরা পালন করবো আগের মতোই। জনতা-জনার্দনকে সাথে নিয়ে এইসব কর্মসূচি পালিত হবে। আমি রাস্তায় থাকবো।” বলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমুল কংগ্রেস কিংবা রাজনীতি প্রসঙ্গে একটি বাক্য উচ্চারন করেননি। রাজনৈতিক মহলের কাছে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে আগামী কয়েক দিনে পূর্ব মেদিনীপুর শুধু নয় রাজ্য-রাজনীতির পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকে থাকবে সকলের নজর।

Published on: নভে ২৯, ২০২০ @ ২১:৫৫


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

35 − = 28