‘এখন আমি হলাম মিরজাফর ! আমি হলাম বেইমান ! বাহ !’ বলে উঠলেন ব্যথিত শিশির অধিকারী

রাজ্য
শেয়ার করুন

  • “এরা আমাকে দিয়ে ছেলের(শুভেন্দু) বিরুদ্ধে বলাতে চেয়েছেন। সেটা কি খনও সম্ভব? আমি ছেলের বিরুদ্ধে যাব? ছেলে আমার পরিবারের বড় সম্পদ।”- বললেন শিশির অধিকারী।
  • “আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে দল যা বলছে তা ঠিক নয়। মমতা এখনও আমার নেত্রী। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কোথাও একটিও কথা বলিনি।”
  • “সৌগতবাবু এই শহরে দাঁড়িয়ে আমার আর আমার পরিবারের নামে যা বলেছেন, কেউ তা বলেনি। অতি জঘন্য ভাষায় আমার পরিরারকে আক্রমণ করা হল।”

Published on: জানু ১, ২০২১ @ ২০:৪২

এসপিটি নিউজ, পূর্ব মেদিনীপুর, ১ জানুয়ারি:  ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্য-রাজনীতিতে নানা ছবি উঠে আসছে সামনে। তবে এই মুহূর্তে সব চেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কাঁথির অধিকারী পরিবার। শুভেন্দু অধিকারী পরিবারের বিজেপি-তে যোগদানের পর থেকেই তাতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে এখনও পরিবারের আরও দুই সদস্য এখনও তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। তাঁরা হলেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী ও মেজো ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। দিব্যেন্দুর বিবৃতি শুনেছেন। আজ মুখ খুলেছেন বাবা শিশির অধিকারী। মনের ভিতর জমে থাকা ব্যথা-বেদনা, ক্ষোভ তিনি উগরে দিয়েছেন। বলে উঠেছেন-“এখন আমি হলাম মিরজাফর! আমি হলাম বেইমান! বাহ!”

ববি হাকিমের প্রসঙ্গে

বাড়িতেই আছেন এখন তৃণইমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী। এমনকী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও। তবে এই কথা উঠতেই তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ পেল। বললেন- জানি না আছি কিনা! না দিস সাইড! না দ্যাট সাইড। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকে ববি হাকিম তাকে মিরজাফর বলতে শুরু করেছিলেন যোগ দেওয়ার পর বলেন- গোটা অধিকারী পরিবারটাই বিশ্বাসঘাতক। মিরজাফর। এই কথা উঠতেই অশীতিপর তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী হাসতে হাসতে বলেন- ” মিরজাফর তো মুসলমান বলে জানতাম। যাই হোক – ববি ভালো ছেলে। ও ভালো থাকুক। আমাদের পরিবারকে ববি গাল দিলে তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না।”

নিজের পরিবার নিয়ে বললেন শিশির অধিকারী

এখানেই না থেমে শিশিরবাবু গলা থেকে বেরিয়ে আসে ক্ষোভের আঁচ। তিনি বলেন-“আমি যখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম তখন একটাও নির্বাচিত পদ ছিল না।আমি যোগ দেওয়ার পর দলে দলে সকলে যোগ দিল। আর এখন আমি হলাম মিরজাফর! আমি হলাম বেইমান! বাহ! ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব পাবে। জবাব দেবে মেদিনীপুরের মানুষ।”  করোনা সংক্রমনের ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ। ছেলেরা বারন করেছে। করোনার টিকা নেওয়ার পরি দিল্লিতে যাবেন। তবে এখন তিনি কি করবেন? শিশিরবাবুর জবাব- “বড়িতে বসে হরেকৃষ্ণ করব। আগে তো আমরা চক্রবর্তী ব্রাহ্মণ ছিলাম তবে চৈতন্য মহাপ্রভু আসার পর আমরা অধিকারী হয়েছি। আমাদের বাড়িতে নিয়মিত রাধামাধবের পুজো হয়। এখনও দলমর নির্বিশেষে সকলে অধিকারী পরিবারকে সকলে ভালোবাসে।”

পরিবারের প্রতি দলের আচরণে ব্যথিত শিশির অধিকারী

শিশির অধিকারী না থেমে এক নাগাড়ে বলতে থাকেন- “এরা কি নন্দীগ্রামের রাস্তা চিনতেন? নন্দীগ্রাম মানুষের আন্দোলন। কিন্তু সেখানে অধিকারী পরিবারেরও একতা ভূমিকা ছিল। সেটা এখন সকলে ভুলে গেলেন? তাঁর প্রশ্ন- এরা আমাকে দিয়ে ছেলের(শুভেন্দু) বিরুদ্ধে বলাতে চেয়েছেন। সেটা কি খনও সম্ভব? আমি ছেলের বিরুদ্ধে যাব? ছেলে আমার পরিবারের বড় সম্পদ। আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে দল যা বলছে তা ঠিক নয়। মমতা এখনও আমার নেত্রী। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কোথাও একটিও কথা বলিনি। ববি, সৌগত এসে আমাদের পরবারের বিরুদ্ধে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করছে। সৌগতবাবু এই শহরে দাঁড়িয়ে আমার আর আমার পরিবারের নামে যা বলেছেন, কেউ তা বলেনি। অতি জঘন্য ভাষায় আমার পরিরারকে আক্রমণ করা হল।”

Published on: জানু ১, ২০২১ @ ২০:৪২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

92 − = 90