ইসকন মায়াপুরে গীতা জয়ন্তী উৎসব, ৫ ডিসেম্বর হবে ৫ হাজার ভক্তের সম্মিলিত গীতা পাঠ

Main দেশ ধর্ম ভ্রমণ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: ডিসে ২, ২০২২ @ ২১:১১
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২ ডিসেম্বর: বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উৎসব হয়ে থাকে ইসকন-এর প্রধান কেন্দ্র মায়াপুরে। এখন চলছে গীতা জয়ন্তী উৎসব।শ্রীধাম মায়াপুর এখন বিশ্ববাসীর কাছে পারমার্থিক জ্ঞান আহোরণের অন্যতম পীঠস্থান। প্রতি বছরের মতো তাই এবারও ২৭ নভেম্বর থেকে মায়াপুর ইসকন-এ শুরু হয়েছে গীতা জয়ন্তী মহোৎসব। ৩ ডিসেম্বর হবে এই উৎসবের সমাপ্তি। তবে ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের যৌথ উদ্যোগে এখানে ৫ হাজার ভক্তের সম্মিলিত গীতা পাঠ অনুষ্ঠিত হবে।

ভক্তিবেদান্ত গীতা অ্যাকাডেমি

ভক্তিবেদান্ত গীতা অ্যাকাডেমি ভারতবর্ষে বিশেষত বাংলা, ইংরাজি ও হিন্দি ভাষায় গীতা স্টাডি কর্সের মাধ্যমে শ্রীল প্রভুপাদের গীতা ও ভাগবত পড়ার সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। গীতার জ্ঞানালোকে বিশ্ববাসীর হৃদয়কে উদ্ভাসিত ও গীতা অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবলকে বৃদ্ধি করতেই এই মহান উৎসবের আয়োজন। মায়াপুর ইসকন থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।

৫১৫৫ বছর আগে

ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন- পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আজ থেকে ৫১৫৫ বছর আগে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের সমরাঙ্গনে অমিত শক্তিশালী ধনুর্ধর অর্জুনকে গীতার জ্ঞান দান করেছিলেন এই শুভ তিথিতে। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হতাশাগ্রস্ত অর্জুনের মধ্যে জ্ঞানগর্ভ কথোপকথনই গীতা। সেই ঐতিহ্য স্মরণ করে প্রতি বছরই এই উৎসব পালন করা হয়।

ভগবদগীতা মানবজাতির জন্য কৃষ্ণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার

গীতাকে বলা হয় মানব ধর্মতত্ত্বের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ। আজ থেকে ৫১৫৫ বছর আগে ভগবদ্গীতার দিব্যজ্ঞান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে প্রদান করলেও গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে যে, এর পূর্বেও তিনি এই জ্ঞান অন্যকে প্রদান করেছিলেন। ভগবদগীতা মানবজাতির জন্য কৃষ্ণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার। প্রকৃতপক্ষে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতিকে জড় জাগতিক অজ্ঞতা থেকে উদ্ধার করা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন যখন কৌরবপক্ষে তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে অসমর্থ, তখন কৃষ্ণ জীবনের সত্য এবং কর্ম, জ্ঞান, ধ্যান এবং ভক্তির দর্শন তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন। যার ফলে বিশ্বের অন্যতম বড় ধর্মগ্রন্থ ভগবদগীতা প্রকাশিত হয়।

গীতাকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে চালু করার আবেদন

মায়াপুর ইসকনের পক্ষ থেকে গীতাকে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে চালু করার আবেদন জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও রাজনৈতিকতার উর্দ্ধে মানবজাতির কল্যাণে গীতা পাঠ সকলেরই অবশ্য পাঠ্য। আত্ম-মুক্তি ও জগৎ কল্যাণ সাধনের জন্য গীতার অমৃতময় বানী বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা। পাঠ্য পুস্তক হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গীতা পাঠের জন্য সুশীল সমাজের এবং সরকারের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ আপনারাও এই শুভ উদ্যোগে সামিল হোন।

Published on: ডিসে ২, ২০২২ @ ২১:১১


শেয়ার করুন