আমেরিকান ‘চিনুক’ পৌঁছতেই শক্তিশালী হল ভারতীয় বায়ুসেনা, এরপর আসছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ লড়াকু অ্যাপাচি হেলিকপ্টার

দেশ বিদেশ
শেয়ার করুন

Published on: মার্চ ২৫, ২০১৯ @ ১৮:৫২

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকার থেকে কেনা চার চিনুক হেলিকপ্টারের প্রথম ইউনিট এসে পৌঁছল ভারতীয় বায়ুসেনার ঘরে। আনুষ্ঠানিকভাবে চন্ডীগড়ে এর সূচনা হয়। এই উপলক্ষ্যে বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া বলেন-“নিরাপত্তা নিয়ে দেশের সামনে এখন এক চ্যালেঞ্জ। বায়ুসেনার কাছে চিনুকের মতো হেলিকপ্টারের খুবই প্রয়োজন। কারণ এই হেলিকপ্টার দুর্গম এলাকায় এবং অনেক উঁচুতে অনেক বেশি ওজনের সামগ্রী বহন করে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। তিনি বলেন- যেদিন রাফেল বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে সেদিন পাকিস্তান আর কোনও সুযোগই পাবে না।

১৭০০০ কোটি টাকায় হয়েছে এই চুক্তি

১) রবিবার ৪ চিনুক হেলিকপ্টার গুজরাটের কচ্ছের মুদ্রা এয়ারপোর্টে পৌঁছেছে। ভারত ২০১৫ সালে আমেরিকা বিমান কোম্পানি বোয়িং-এর সঙ্গে ১৫টি চিনুক হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি সাক্ষর করে। ২.৫ আরব ডলার যা ভারতীয় মূল্যে ১৭০০০ কোটি টাকার এই চুক্তিতে ২২টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টারও রয়েছে।

২) এর আগে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় বোয়িং চলতি সপ্তাহেই ভারতকে প্রথম চিনুক হেলিকপ্টারের ক্ষেপ আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেয়। চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী এই বছর শেষ হওয়ার আগেই ভারত সব অ্যাপাচে এবং চিনুক হেলিকপ্টার পেয়ে যাবে। এর ফলে ভারতীয় বায়ুসেনা এই উপমহাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

৩) বোয়িং-এর কথা অনুযায়ী-অ্যাপাচি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ লড়াকু হেলিকপ্টার হিসেবে মানা হয়। আমেরিকান সেনা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাপাচে ও চিনুক ব্যবহার করে চলেছে।

৪) ভারত অ্যাপাচে ব্যবহারকারী ১৪ নম্বর এবং চিনুক ব্যবহারকারী ১৯ নম্বর দেশ হতে চলেছে। বোয়িং ২০১৮ সালে বায়ুসেনার পাইলট এবং ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারদের চিনুক হেলিকপ্টার অড়ানোর প্রশিক্ষন দিয়েছিল।

চিনুক হেলিকপ্টার

  • দুই ইঞ্জিনট্যান্ডেম পাখা বিশিষ্ট একটি ভারী পরিবহণ হেলিকপ্টারএটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ নট (১৯৬ মাইল বা ৩১৫ কিলোমিটার)।
  • ১৯৬০-এর দশকে তৈরি হওয়া এই হেলকপ্টারটির গতিবেগ তৎকালীন সাধারণ ও আক্রমণাত্মক হেলিকপ্টারের চেয়েও বেশি ছিলো। এটি একই সাথে সেই সময়ে তৈরি হওয়া খুব অল্প কিছু হেলিকপ্টারের একটি যেগুলো বর্তমানেও তৈরি ও সরাসরি যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • এই মডেলের হেলিকপ্টার এখন পর্যন্ত মোট১,১৭৯টি তৈরি করা হয়েছে। এটি মূলত যে কাজে ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে আছে, সৈন্য পরিবহণ, আর্টিলারি স্থানান্তর, যুদ্ধক্ষেত্রে রসদসরবরাহ করা। মালামাল পরিবহণের জন্য এটির তেলের ট্যাংকারের পাশে প্রশস্ত স্থান রয়েছে, এবং তিনটি অতিরিক্ত কার্গো হুক বিদ্যমান।

অ্যাপাচি হেলিকপ্টার

  • বোয়িং এএইচ –64 অ্যাপাচি একটি আমেরিকান টুইন-টারবশাফ্ট আক্রমনাত্মক হেলিকপ্টার যা একটি টেইলভিয়েল-টাইপ ল্যান্ডিং গিয়ার বিন্যাস এবং দুটি দলের ক্রু-র জন্য একটি ট্যান্ডেম ককপিট।
  • মার্কিন সেনা এএইচ –64 এর প্রাথমিক অপারেটর; এটি গ্রীস, জাপান, ইজরায়েল, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ একাধিক দেশগুলির প্রাথমিক আক্রমণ হেলিকপ্টার হয়ে উঠেছে;
  • লেবানন এবং গাজা স্ট্রিপে ইসরাইল সামরিক অভ্যুত্থানে অ্যাপাচি ব্যবহার করেছিল; আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে নিয়োজিত ব্রিটিশ ও ডাচ অ্যাপাচিকে দেখা গেছে।

Published on: মার্চ ২৫, ২০১৯ @ ১৮:৫২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

88 − 79 =