Published on: অক্টো ৯, ২০২১ @ ১৮:৩৬
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ৯ অক্টোবর: এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে চলতি বছর জানুয়ারি মাসে। এই নিয়ে তৃতীয়বার বাংলাদেশী নারী ও শিশুদের ফেরানো হল তাদেরই দেশে, যারা দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেইফ হোমে ছিলেন। যাদের কেউ পাচার কিংবা অবৈধভাবে বা ভুলক্রমে ভারতে আটকে পড়েছিলেন। অবশেষে এদের পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজ কল্যাণ দফতর এবং কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তেমনই গত ৭ অক্টোবর ২০জন বাংলাদেশী নারী ও শিশুকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ফেরানো হয়েছে।
তিন দফায় মোট ৯৫জন বাংলাদেশী নারী ও শিশুকে ফেরানো হল তাদের দেশে
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজ কল্যান দফতরের অধীনে প্রতিষ্ঠিত নারী ও শিশু পাচার রোধ বিষয়ক বিশেষ টাস্কফোর্সের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এই প্রক্রিয়া সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। এর ফলে বছরের পর বছর ভারতের বিচারিক আদালতের মামলার কারণে বিভিন্ন সেইফ হোমে আটকে থাকা এই সব নারী ও শিশুর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি, ৩৮ জন এবং ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ ৩৭ জন নারী ও শিশুকে ফেরত পাঠানোর পর বড় পরিসরে এই ধরনের এটি তৃতীয় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এবং আটক হওয়া অবশিষ্ট বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
যে প্রক্রিয়ায় এটি সম্পন্ন হল
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দেড়শতাধিক বাংলাদেশী নারী ও শিশু বিভিন্ন সময়ে পাচার হয়ে কিংবা অবৈধভাবে বা ভুলক্রমে ভারতে এসে আটক হয়ে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থান করছেন। আটক হওয়া এ সব নারী ও শিশুদের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিরেক্টরেট অব চাইল্ড রাইটস এন্ড ট্রাফিকিং বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জানানো হয়। বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতা এসব সেইফ হোমগুলি পরিদর্শন করে আটকহওয়া বাংলাদেশী নারী ও শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে জানায়। পরবর্তীতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতা ট্রাভেল পারমিটের প্রমাণীকরণ, ডকুমেন্টেশন ইস্যু করার মতো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া অতি দ্রুততম সময়ে সম্পাদন করে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ফেরানোর সময় বেনাপোল সীমান্তে যারা উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতার প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মিজ শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতির প্রতিনিধিত্বে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতার একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিকট ২০ জন নারী ও শিশুকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এদের মধ্যে ২ জন পূর্ণবয়স্ক নারী সহ আরও ৮ জন নারী ও ১০ জন পুরুষ রয়েছে যাদের বয়স ১৮ বছরের নীচে এবং যারা ভারতের বিভিন্ন সেইফ হোমে প্রায় দুই বছর থেকে আট বছর পর্যন্ত আটক ছিলেন।
এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময় বেনাপোল সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের বিভিন্ন সংস্থা, বাংলাদেশের বিজিবি এবং বিএসএফ সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।
Published on: অক্টো ৯, ২০২১ @ ১৮:৩৬