অল ইন্ডিয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশন পেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের শংসাপত্র

Main দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

  • সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর সহযোগী সংগঠন হিসেবে এআইবিএফ-এর এই সম্মান প্রাপ্তির জন্য আমাদের সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে রইল শুভেচ্ছা।
  • মধ্যমগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে মানবাধিকার কর্মকান্ডের জন্য বিশেষভাবে সম্বর্ধিত করা হয় অলইন্দীয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশনকে।
  • সংস্থার মানবাধিকার বিভাগের সভানেত্রী হয়েছেন অভিষিক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Published on: জুন ২৯, ২০২০ @ ১২:৪৮ 

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৯ জুন:  মানবাধিকার রক্ষার কাজে পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি সংস্থা ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হয়ে কাজ করার সুযোগ অর্জন করল। গত ২২জুন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মধ্যমগ্রামে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশনকে শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করেছে। সংবাদ প্রভাকর টাইমস-এর সহযোগী সংগঠন হিসেবে এআইবিএফ-এর এই সম্মান প্রাপ্তির জন্য আমাদের সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে রইল শুভেচ্ছা।

ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) ১৯৯৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে ১৯৯৩ সালের ১২ ই অক্টোবর গঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ পাবলিক সংস্থা। এটি মানবাধিকার সুরক্ষা আইন, ১৯৯৩ (পিএইচআরএ) দ্বারা একটি বিধিবদ্ধ ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছিল। এনএইচআরসি হ’ল ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন,  মানবাধিকার সুরক্ষা এবং প্রচারের জন্য দায়ী, এই আইন দ্বারা সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত বা স্বতন্ত্রভাবে স্বতন্ত্র ব্যক্তির সম্মান, স্বাধিকার, সাম্যতা এবং মর্যাদা হিসাবে আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত আন্তর্জাতিক আদালত এবং ভারতে আদালত প্রয়োগযোগ্য।”

শংসাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়েছে

শংসাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা, যা অল ইন্ডিয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশনকে মাথায় রেখে তাদের দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।সেখানে লেখা রয়েছে-  “কোনও বৈষম্য ছাড়াই সর্বকালের মানবাধিকার সুরক্ষিত ও প্রচার করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ক্রিয়া, শব্দ বা কর্মের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে অন্যের মানবাধিকার বাস্তবায়িত না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

পাঁচ বছর ধরে মানবাধিকার রক্ষার কাজ করে চলেছে এআইবিএফ

এই স্বচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন- “অল ইন্ডিয়া ব্রাদারহুড ফাউন্ডেশন বিগত পাঁচ বছর ধরে মানবাধিকার রক্ষার কাজ করে চলেছে। সমাজের দুঃস্থ, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সংস্থার সাধ্য মতো প্রয়াস তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। যখনই কোনও বড় ধরনের দুর্যোগ কিংবা মানুষের সামনে সংকট দেখা দিয়েছে তখনই এআইবিএফ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী লকডাউন পিরিয়ডে সংস্থা টানা দুই মাসেরও উপর রাস্তায় থাকা ভবঘুরে থেকে শুরু করে অভুক্ত- অসহায় মানুষের কাছে গিয়ে তাদের মুখে নিজেদের সাধ্য মতো খাবার তুলে দিয়েছে।গতকাল মধ্যমগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে এই কর্মকান্ডের জন্য বিশেষভাবে সম্বর্ধিত করা হয়।

মানবাধিকার বিভাগের সভানেত্রী অভিষিক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়

জয়ন্তবাবু জানিয়েছেন- মানবাধিকার কমিশনের হয়ে এই মহান কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত।আমাদের সংস্থার হয়ে এই কাজের নেতৃত্ব দেবেন অভিষিক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকেই এই সংস্থার মানবাধিকার বিভাগের সভানেত্রী করা হয়েছে।

Published on: জুন ২৯, ২০২০ @ ১২:৪৮


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 8 =