সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-বাপন ঘোষ
Published on: জুলা ৯, ২০১৮ @ ২১:৪৩
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৯ জুলাইঃ একুশে জুলাই কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঐতিহাসিক সমাবেশ। প্রতি বছর যে সমাবেশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেসের আবেগ,স্মৃতি, ব্যাথা-বেদনা, দুঃখ-কষ্ট। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকে একুশে জুলাই সমাবেশ বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। এবার সেই সমাবেশের পাঁচ দিন আগে মেদিনীপুর শহরে বিজেপি কৃষক কল্যান সমাবেশের আয়োজন করতে চলেছে। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাবেশটি কৃষক কল্যানের নামে হলেও এই সমাবেশ মূলত বিজেপির সমাবেশেই রূপ পেতে চলেছে। সেটা আজ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
সেই সমাবেশকে সফল করতে আজ সোমবার মেদিনীপুর শহরে এক অতিথিশালায় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রের নেতৃত্ব হাজির ছিলেন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, লকেট চ্যাটার্জি সহ অন্যান্যরা। ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি শমিত কুমার দাশও। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শিব প্রকাশজি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ঐদিনের সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কে এই সভা? জবাবে দিলীপ ঘোষ জানান, মোদিজি খারিফ শস্যের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তাই কৃষ প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত মেদিনীপুরের এই কৃষক কল্যান সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, এই সমাবেশের প্রচারে আগামী ১৩ ও ১৪ জুলাই রাজ্য জুড়ে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতিটি বুথে চলবে প্রচার।
শেষে দিলীপ ঘোষ নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসকে খোঁচা মেরে বলেন,”মোদিজির নাম শুনলে ওদের শরীর খারাপ হয়ে যায়। মোদিজির সভার পর ওদের শরীর আরও খারাপ হয়ে যাবে। আগামিদিনে ওদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
Published on: জুলা ৯, ২০১৮ @ ২১:৪৩