স্ত্রীর গলায় জুতোর মালা ঝুলিয়ে কিভাবে শাস্তি দিল তৃণমুলের সহকর্মীরা, দেখতে হল দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে

রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল                                        ছবি-রামপ্রসাদ সাউ

Published on: মে ১৯, ২০১৮ @ ২২:০১

এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১৯ মেঃ এক সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ উঠত। আর এখন সেই অভিযোগ উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই ধরনের তালিবানি শাসন দলের সুপ্রিমো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনে হয় না বরদাস্ত করবেন। আসলে তারা যে তৃণমূল কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছে। এমন দিনও যে তাকে দেখতে হবে তা কি কোনওদিন ভেবেছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল দাসকে!তাঁর সামনেই স্ত্রী কবিতা দাসকে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে কান ধরে ওঠবোস করানো হল তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে। ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতীর বাগডুবি গ্রামে।

কেন এমনটা হল?

তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল দাস বলেন, “আমি এখনও গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য।তৃণমূলেরও সক্রিয় কর্মী। কিন্তু এই ঘটনার পর আর তৃণমূল কংগ্রেস করব কিনা ভাবছি।”

জানা গেছে, কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঐ আসনটি এবার মহিলা সংরক্ষিত। আর তাই এবার সেখানে টিকিট মেলেনি গোপালের। অভিযোগ, তাই এবার সে নির্দল প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছিল। যদিও গোপাল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর মধ্যে ভোটের দিন গোপালের স্ত্রী কবিতা বুথ জ্যামের সময় প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকী তিনি তৃণমূলের এক কর্মীকে জুতোও দেখিয়েছিলেন। অভিযোগ, ভোটও নাকি তারা নির্দল প্রার্থীকে দিয়েছিলেন। আর তাতেই সব রাগ গিয়ে পড়ে ওই মহিলার উপর।

১৮ তারিখ গোপাল দাসকে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়ে ডাকা হয়। পরে ডাকা হয় তাঁর স্ত্রী কবিতাকেও। এরপর ‘বিচারসভা’ বসে। ওই মহিলা বলেন, “আসলে সেসময় ভেবেছিলাম আমার স্বামীকে ওরা মারধর করছে। তাই মেজাজ হারিয়েছিলাম। আর তখন ওই কাজ করি।এজন্য পরে ক্ষমাও চেয়ে নি।” কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেন শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না। জুতোর মালা পরে ঘুরতে হবে। কান ধরে ওঠবোস করতে হবে। অবশেষে সেই মহিলাকে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনেই গলায় জুতোর মালা পরিয়ে কান ধরে অঠবোস করানো হল।

এই ঘটনে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেননি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি বলেন, এধরনের ঘটয়ার খবর পেয়েছি। দল এসব বরদাস্ত করবে না। আমরা খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেমন দল তেমন তার কর্মীরা। এদের কাছ থেকে আর কি আশা করা যেতে পারে। এরই নাম হল নাকি উন্নয়ন!

Published on: মে ১৯, ২০১৮ @ ২২:০১

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 4 = 5