মমতা বললেন- আমি হচ্ছি ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’, আমায় কোথায় আটকাবে

Main দেশ ভোট সংবাদ রাজ্য
শেয়ার করুন

Published on: এপ্রি ১১, ২০২১ @ ২০:২২

এসপিটি নিউজ, জলপাইগুড়ি, ১১ এপ্রিলঃ শীতল্কুচির ঘটনা নিয়ে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও তিনি নাম করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিত শাহের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন- আমাকে বলে যেতে দেবে না। আমি হচ্ছি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার- আই শিলিগুড়ি বসেই ভিডিও কলের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এসেছি।আমায় কোথায় আটকাবে?

শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভের সঙ্গে বলেন- “এখন গুলি চালাচ্ছে। মানুষ যখন ভোট দিতে যাচ্ছে- যে ভোট হচ্ছে গণতন্তের সব চেয়ে বড় উৎসব। সেখানে মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ভোট বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। চক্রান্ত করা হচ্ছে।ভোটের লাইনে গুলি করে দেওয়া হচ্ছে।”

“কাল যে চারজন মারা গেছে তাদের ২০ থেকে ২৫ বছর মাত্র বয়স। আমি আজ সকালে যেতে চাইলাম শীতলকুচি। আমি শুধু ইলেকশন করতে আসি না সারা বছর আসি। আমি আজ শীতলকুচিতে যাব বলে ঠিক করেছিলাম।বলল, যাওয়া হবে না।আমি বললাম, ঠিক আছে- যাওয়া হবে না!৭২ ঘণ্টার মধ্যে যাওয়া হবে না। মৃতদেহ দেখা হবে না। আমি বললাম, মৃতদেহে এত ভয়? মারতে ভয় নেই? মেরেছিস তো বুকের উপর।খুন করবার জন্যই খুন করেছো।এটা নৃশংস হত্যা।ভোটের লাইনে গণতন্ত হত্যা- লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা।” বলেন মমতা।

এর পর উত্তিত হয়ে মমতা বলেন- “আমাকে বলে যেতে দেবে না। পরিবারের সাথে দেখা করব, তাদের একটু সাহায্য করতাম। সেগুলি আমরা যদিও করে দিয়েছি। কিন্তু পরিবারের সাথে কথা বলতে দেবে না বলেছিল তো। কিন্তু আমি কি করেছি আপনারা জানেন তো। আমি হচ্ছি ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’। আমি শিলিগুড়িতে বসে প্রেস কনফারেন্স করে ভিডিও কল করে আমি সব কথা বলে এসছি। যারা মারা গেছে তাদের পরিবারের সাথে আমি ইতিমধ্যেই কথা বলে এসেছি।”

“আমাকে এত বোকা ভাবার কারণ নেই। আমাকে কোথায় আটকাবে পাহাড়ে? কোথায় আটকাবে জঙ্গলে? কোথায় আটকাবে অরণ্যে? কোথায় আটকাবে কোচবিহারে? কোথায় আটকাবে জলপাইগুড়িতে?ছেলেগুলো মারা গেছে ২০-২২ বছর বয়স।একজনের বাড়িতে গর্ভবতী বউ। একজনের তিন বছরের একটি বাচ্চা আছে। কি অবস্থা , কাঁদছে হাউ হাউ করে। লজ্জা করে না।” বলে চলেন মমতা।

এরপর সুর চড়িয়ে মতা বলেন-“নরেন্দ্র মোদি ক্লিন চিট দিয়ে চলে গেছে। দেশের একটা প্রধানমন্ত্রী, লজ্জা হয়! একটা হোম মিনিস্টার চক্রান্ত করে। লজ্জাও করে না। গুলি করে মানুষ মারে। জানে হেরে যাবে। পুরো হেরে গেছে বিজেপি। চার দফায় হেরে গেছে। হেরে গেছে জানে বলেই ওই গুলি চালাচ্ছে। বোমা চালাচ্ছে। বন্দুক চালাচ্ছে।”

“ওরা চায় না মা-বোনেরা ভোট দিন।গুলির দাম বেশি না ব্যালটের দাম বেশি। আমরা এর বদলা নেব। আমরা বুলেটের বদলা নেব ব্যালটে।একটা করে ভোট দেবেন আর ব্যালটের খেলা হবে। আর বুলেটের বদলা হবে। গুলির বদলা হবে। আমার ভাইদের বদলা হবে।” বলেন মমতা।

অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করে মমতা বলেন-“অমিত শাহের পদত্যাগ চাই। তার কারণ, এই গুলি চালানোর জন্য উনি দায়ী। আজ ওদের দলের লোকেরা বলছে বুথে গুলি করুন। আমার কাছে ভিডিও আছে। কিছুই তো গন্ডগোল হয়নি। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল।তুমি লাঠি চালালে না ফটাফট গুলি চালিয়ে দিলে। আর সব গুলি বুক লক্ষ্য করে। তারপর বলছে ক্লিনচিট- গুলি চালিয়ে ঠিক করেছে!”

“বলছে- গুলি চালিয়েছে আত্মরক্ষার জন্য।কিসের আত্মরক্ষা? কারা গুলি চালিয়েছে? তারা ট্রেইন্ড? সিআরপিএফ নয় এরা সিআইএসএফ। এরা ইন্ডাস্ট্রি পাহারা দেয়। এরা পাবলিক কন্ট্রোল করে না। ক্রিমিনাল কন্ট্রোল করে। ওয়াগান চুরি করলে। সেই লোকগুলিকে হ-জ-ব-র-ল যাকে ইচ্ছা দায়িত্ব দিয়েছে।”

একটা অবসরপ্রাপ্ত লোককে ফেলে রেখেছে। গত ২০১৯ সালেও যা করেছে আজকেও তাই করছে। আজকে ইলেকশনকে কেন্দ্র করে ১৯-২০ জন মারা গেল।” বলেন মমতা।

Published on: এপ্রি ১১, ২০২১ @ ২০:২২


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 7 = 1