
-
হোমিওপ্যাথিতে একটা ওষুধ আছে- তা হল, টিউবারকুয়্যার অ্যাবিয়ার-200। এটি আবিষ্কার করেছিলেন ফ্রান্সের এক চিকিৎসক।
-
কোয়ারিন্টিনে রাখা রোগীদের এই ওষুধটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সময় মতো দিয়ে যেতে হবে।রাখতে হবে তার ডেটা রেকর্ড। যা পরবর্তীকালে ভাইরাসের চিকিৎসায় কাজে লাগবে।
-
ইতিমধ্যে তিনি ট্রায়াল ট্রিটমেন্টের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিঠি দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও।
Published on: মে ১৪, ২০২০ @ ১৭:৪৬
Reporter: Jayanta bandopadhyay
এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ১৪ মে: সারা বিশ্বে বিখ্যাত সব চিকিৎসকরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত তারা এই ভাইরাসের টিকা কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রমাণ তুলে ধরতে পারেননি। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকরা এর কোও দিশা খুঁজে পাননি। সেখানে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডা. প্রকাশ মল্লিক কিন্তু জোর গলায় দাবি করলেন – হ্যাঁ, তাঁদের যদি একবার ট্রায়াল ট্রিটমেন্টের সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে তারা ভাইরাসের হাত থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচানোর রাস্তা বের করতে পারবেন। ইতিমধ্যে তিনি ট্রায়াল ট্রিটমেন্টের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিঠি দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও। যদিও সেখান থেকে কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত আসেনি।
ডা. প্রকাশ মল্লিক অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে জানান
সংবাদ প্রভাকর টাইমসস-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডা. প্রকাশ মল্লিক অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে জানান- করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অবশ্যই আছে হোমিওপ্যাথিতে। কিন্তু সেই সুযোগ তো দিতে হবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের।ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আয়ুষের নাম জানিয়েছে। কিন্তু তা ঠিক ভাবে হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। তবে আমি হোমিওপ্যাথিতে একটা ওষুধ বেছেছি- তা হল, টিউবারকুয়্যার অ্যাবিয়ার-200। এটি আবিষ্কার করেছিলেন ফ্রান্সের এক চিকিৎসক। চিকেন টিউবার কিউলোসিস জার্ম থেকে নিয়ে তৈরি করেছেন ওষুধটি।
হোমিওপ্যাথি বিশ্বাস করে মানুষের মধ্যে একটা জীবনী শক্তি আছে
এরপর ডা. মল্লিক ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন-“হোমিওপ্যাথিকে আমরা ওষুধ বলি ঠিকই আসলে এটা কিন্তু ওষুধ নয়। হোমিওপ্যাথি কিন্তু ভাইরাসের আক্রমন প্রতিরোধ করে এই কারণে যে হোমিওপ্যাথি বিশ্বাস করে মানুষের মধ্যে একটা জীবনী শক্তি আছে যার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারলেই কিন্তু সে রোগ-প্রতিরোধ অনায়াসে করতে পারবে। এই জীবনী শক্তিকে হোমিওপ্যাথির ভাষায় বলে ভাইটাল কোট। সেই ভাইটাল কোটকে উজ্জ্বীবিত করে যেটাকে মর্ডার্ন সায়েন্স বলে ইমিউনিটি পাওয়ার। এই ইমিউনিটি পাওয়ার ডেভেলপ করলেই ভাইরাসের আক্রমনকে প্রতিহত করা যায়।”
“আরও এমন ভাইরাস আসতে পারে”
“এ প্রসঙ্গে আমি বলতে পারি-আগামী দিনে কিন্তু আরও অনেক ভাইরাস আসবে। যেমন আমরা অতীতে দেখেছি- সার্স, মার্স, ইবোলা। সারা পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তার থেকেও বড় আকারে এসেছে আজকের এই করোনা। সেটা কিন্তু আজ পৃথিবীর ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর আরও এমন ভাইরাস আসতে পারে। আসার সম্ভাবনা কিন্তু প্রবল। তাই এখন থেকে আমাদের তৈরি থাকতে হবে এই ভাইরাসের প্রতিরোধের বিষয়ে।”
কোয়ারিন্টিনে রাখা রোগীদের পরীক্ষামূলকভাবে দিতে হবে
ডা. মল্লিক এবার পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁরা কি ধরনের সুযোগ চায়। তিনি বলেন- হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের যদি একবার ট্রায়াল ট্রিটমেন্টের সুযোগ দেওয়া যায় অর্থাৎ এখন যে সমস্ত রোগীদের কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে, তাদের যদি এই টিউবারকুয়্যার অ্যাবিয়ার-200 ওষুধটি পরীক্ষামূলকভাবে নির্দিষ্ট মাত্রায় সময় মতো দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায় আর তাদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ের ডেটা যদি রেকর্ড করে রাখা হয় তাহলে সেই ডেটা পরবর্তীকালে ভাইরাসের চিকিৎসায় অনেকখানি সাহায্য করবে এবং হোমিওপ্যাথির মাধ্যমেই ভাইরাসের হাত থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
Published on: মে ১৪, ২০২০ @ ১৭:৪৬