বিমানযাত্রীদের এখন এইসমস্ত নিয়ম মেনে উড়ানে চাপতে হবে

Main কোভিড-১৯ দেশ বিমান ভ্রমণ
শেয়ার করুন

 Published on: মে ১৪, ২০২০ @ ১২:৫৪

এসপিটি নিউজ ডেস্ক:  উড়ান পরিষেবা চালুর বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক গুরুত্বপূর্ণ খসড়া প্রকাশ করেছে। যেখানে বিমান সংস্থা, বিমানবন্দর, যাত্রী সকলকেই কিছু নয়া নিয়ম-নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। কি আছে সেই নিয়ম-নির্দেশিকায়।

করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এরই মধ্যে সরকার মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে রেল-বিমান পরিষেবা চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যাত্রীদের জন্য তারা দিয়েছে এই সমস্ত নিয়ম-নির্দেশিকা-

১) কোভিড-১৯ পর্বর্তী উড়ান যাত্রায় যাত্রীরা কেউ কেবিন লাগেজ সঙ্গে নিতে পারবেন না।

২) প্রত্যেক যাত্রীকে সরকার নিয়ন্ত্রিত আরোগ্য সেতু অ্যাপ নিজের স্মার্ট ফোনে ডাউনলোড করে নিতে হবে।

৩) বিমানযাত্রার আগে তিনি কোয়ারিন্টিনে ছিলেন কিনা তাও জানাতে হবে।

৪) যাত্রীদের বিমানে ওঠার আগে একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। সেখানে তাদের সেই প্রশ্নপত্রটি পূরণ করা বাধ্যতামূলক।

৫) যাত্রীদের দু’ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছতে হবে।

বিমানবন্দরে পৌঁছনোর জন্য অনুমোদিত ট্যাক্সিগুলিতে সওয়ার করতে হবে।

তবে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক শুধু যাত্রীদের জন্যই নিয়ম-নির্দেশিকা জারি করেনি। তারা বিমানবন্দর, বিমান সংস্থা থেকে শুরু করে সেখানকার সমস্ত সুরক্ষাকর্মী থেকে সমস্ত কর্মীদের ক্ষেত্রেই একাধিক নিয়ম জারি রেখেছে। তাদেরও শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক পুনরায় বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম একটি খসড়া প্রকাশ করেছে। সেখানেই এই সমস্ত বিষয়ে পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে।

বিমানবন্দরের ক্ষেত্রেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা। সেখানে বলা হয়েছে-

১) বিমানবন্দরের টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের একটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চল থাকা উচিত এবং পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য লক্ষণগুলি দেখানো হবে এবং

২) বিমানবন্দরে এপিএইচও বা এয়ারপোর্ট হেলথ অর্গানাইজেশন স্থাপন না হলে রাজ্য সরকারকে চিকিত্সা অবকাঠামোতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা উচিত।

৩) বিমানবন্দরগুলিকে দূরত্ব চিহ্নিতকরণ, বসার জায়গাগুলিতে, লিফট, এসকেলেটর, চেয়ারগুলি, খাবার ও পানীয় এবং খুচরা আউটলেটগুলির মতো সমস্ত সাধারণ অঞ্চলকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৪) টার্মিনালের মধ্যে মুভেবল হ্যান্ড ওয়াশ কার্ট বা অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড সানিটাইজারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

(সূত্র: পিটিআই)

 Published on: মে ১৪, ২০২০ @ ১২:৫৪

 

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + = 18