যারা বাংলা ভাগের কথা বলে বিজেপির সেইসব ‘মহাপুঙ্গব’ নেতাদের তাড়িয়ে দিন বাংলা থেকে, যাতে তারা কোনদিন আর না আসতে পারে-কাঁকসায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

দেশ রাজ্য
শেয়ার করুন

সংবাদদাতা-বেবী সকার ও অর্পণ চক্রবর্তী

 

 

 

 

 

 

 

এসপিটি নিউজ, কাঁকসাঃ তৃণমূলের সরকার জণগনের সরকার, মা-মাটি-মানুষের সরকার। আমরা ছিলাম, আছি, আমরা থাকব। আমরা সবাইকে নিয়ে থাকতে চাই।বাংলার মাটিতে ভাগাভাগির খেলা হবে না।বলে কিনা বাংলার মানুষ রাজস্থানে কেন যাবে!কেন যাবে না,বাংলার মানুষ অন্য রাজ্যে যাবে অন্য রাজ্যের মানুষ বাংলায় আসবে।’ কাঁকসার জনসভায় দাঁড়িয়ে নাম না করে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন-আমি আপনাদের মতো আহাম্মক নই। উত্তরপ্রদেশের লোক বাংলায় আসে কারণ বাংলাকে তারা নিজের ঘর-বাড়ি ভাবে, বিহারের লোক বাংলায় আসে কারণ বাংলাকে তারা নিজের ঘর-বাড়ি ভাবে, এখানে কেরালা থেকে বহু মানুষ আসে তারা এ রাজ্যকে আপন করে নিয়েছে। আমি তাদের বলতে পারি তোমরা এখান থেকে চলে যাও।আমি কোন্দিন বলব না চলে যেতে। মোটা ভাত দেব, মোটা কাপড় দেব। সে যদি সাহায্য চায় তাকে আমরা সেটাও দেব। আর মহাপুঙ্গব নেতারা -এরা এসব আজেবাজে কথা বলে যায়। তাদের কেউ ক্ষমা করবে না।এসব লোকজনদের তাড়িয়ে দিন, যাতে তাদের কেউ কোনদিন কাছে না আসতে পারে।এখানেই না থেমে তিনি বিজেপির নাম করে বলেন, বন্যার পর সেইসমস্ত বিপর্যস্ত এলাকার সংস্কারের জন্য কেন্দ্র বিহারকে টাকা দিল, আসামকে টাকা দিল। দিল না শুধু বাংলাকে। ভাবল বাংলাকে ভাতে মারবে। আরে বাংলা ভাত তৈরি করে। বাংলা ভাত তৈরি করে অপরকে খাওয়ায়। আরা মিথ্যে কথা বলে। আরা আদিবাসী পরিবার, দলিত পরিবারকে হত্যা করে। ওদের কথা বিশ্বাস করবেন না। ওদের কথায় ভুল বুঝবেন না। টাকা নিয়ে ওরা কুতসা করে। ওদের কোন কথায় আর বিশ্বাস করবেন না।

 

 

 

 

 

আরও যে গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়–

১)অসুস্থ মায়েদের হাস্পাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে মাতৃযান।

২)জামুড়িয়ায় ধ্বসপ্রবণ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি

৩)৫৭ লক্ষ আদিবাসী ছেলে-মেয়েদের জন্য স্কলারশিপ চালু

৪)রাজ্যে ২ লক্ষ লোকশিল্পীকে মাসে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়।আরো বেশি অনুষ্ঠান হলে সেই টাকা ৪-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত তারা পেতে পারবে।

৫)ছয় হাজার ইন্ডাস্ট্রিজ ইউনিট চালু হয়েছে।

৬)আমরা আদিবাসী ভাষাকে মর্যাদা দিয়েছি।

৭)প্রাথমিক স্কুলে ছেলে-মেয়েরা খাবার, পোশাক, ব্যাগ, জুতো পাচ্ছে। এগুলো আমাদের সব সামাজিক কর্মসূচি।

৮)আসানসোল এলাকায় ১৭টি পানীয় জল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

অনুব্রতকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

তবে এদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল মঞ্চে দাঁড়িয়ে বীরভুম জেলার দলীয় সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে তার সাম্প্রতিক বেশ কিছু মন্তব্যের জন্য সতর্ক করে দেওয়া।সম্প্রতি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “”চোখ উপড়ে””নেওয়া থেকে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও সিপিআই(এম) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্য এমনকি তার একসময় এর নেতা বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেই চলেছেন বীরভুমের এই ডাকাবুকো নেতা।সোমবার অনুব্রত মন্ডল যখন কাঁকসার মঞ্চে একজন মনোযোগী শ্রোতার মত দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুনছিলেন তখন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করার পরেই বলেন””ওদের মুখের ভাষা খারাপ।ওরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে দাংগা চাই,কুতসা আর ষড়যন্ত্র করছে।আমরা তৃণমুল কংগ্রেস করি।আমরা ওদের মত ওই ভাষা ব্যবহার করি না।আমি কেষ্টকে শেষবারের মত বলছি আর এরকম ভাষা ব্যবহার করবে না।আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।”                                                               ছবিঃ সংবাদ প্রভাকর টাইমস


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

− 2 = 8