মুখ থুবড়ে পড়েছে মোদী সরকারের “মুদ্রা যোজনা”, NPA বেড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

দেশ
শেয়ার করুন

Published on: মে ২৮, ২০১৮ @ ২১:২৪

এসপিটি নিউজ ডেস্কঃ নরেন্দ্র মোদীর সময়টা ইদানীং ভালো যাচ্ছে না। ‘আচ্ছে দিন’ যেন ক্রমেই ‘বুড়ে দিন’-এ পরিণত হয়ে চলেছে।কয়েকদিন আগে কর্ণাটকে বিরোধীদের কাছে চরম ধাক্কা খেতে হয়েছে। এরপর ডিজেল-পেট্রলের দাম বাড়িয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। এবার নিজেদের “মুদ্রা যোজনা”ও মুখ থুবড়ে পড়ল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন মোদী সরকারের দুর্বল দিকগুলি প্রকাশ্যে চলে আসতে শুরু করেছে। যার ফলে রীতিমতো কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে মোদী সরকারের।

২০১৫ সালে ক্ষুদ্র আর মাঝারি মানের শিল্প গড়তে মোদী সরকার “মুদ্রা যোজনা” শুরু করে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গেছে, এই যোজনায় যত পরিমান টাকা তিন বছরে ঋণ দেওয়া হয়েছে তা থেকে “নন-পারফরমিং অ্যাসেট’ বা এনপিএ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাড়তে বাড়তে তা এখন ১৪ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। সর্বভারতীয় এক হিন্দি দৈনিকে প্রকাশিত এমন খবরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে।এখন এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে কেন্দ্রীয় অর্থ দফতর আর ব্যাঙ্ক-এর সামনে এক নয়া চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।

ব্যাঙ্কগুলি ইতিমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, মুদ্রা যোজনার জন্য এনপিএ আরও বাড়তে পারে। তাই কেন্দ্রীয় সরাকার আর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের জানাক এই অবস্থায় তাদের কী করনীয়। এমনকী, এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও যে গড়বড় হয়নি সেটাও কিন্তু এই মুহূর্তে কেউ হলফ করে বলতে পারছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।

তবে শুধু এনপিএ একমাত্র সমস্যা নয়, সমস্যা রয়েছে এই প্রকল্পে যাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও। এ পর্যন্ত মুদ্রা যোজনায় ১২ কোটি ৭৮ লাখ মানুষকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই ঋণ দেওয়া হয়েছে তিনটি বিভাগে। একটি শিশু, একটি কিশোর আর অপরটি তরুন। শিশু বিভাগে ঋণ দেওয়ারসীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত, কিশোর বিভাগে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আর তরুন বিভাগকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার ঋণ প্রাপকদের সংখ্যা মাত্র ১.৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১২ কোটি ৭৮ লাখ লোকের মধ্যে মাত্র ১৭ লাখ ৫৭ হাজার লোক সব চেয়ে বেশি টাকার ঋণ পেয়েছে। এর থেকে একটা ছবি পরিষ্কার হয়ে গেছে যে মুদ্রা যোজনায় সবচেয়ে বেশি টাকার ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করার লোকের সংখ্যা খুবই কম।

বিষয়টি এখানেই শেষ নয়, যে উদ্দেশ্যে এই মুদ্রা যোজনা শুরু করেছিল মোদী সরকার, তা যে এখন তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে চলেছে তা বেশ বুঝতে পারছে মোদী সরকার। এত বড় প্রকল্পে এত জন লোক ঋণ নিল। তাহলে সরকারের কাছে তো একটা হিসেব থাকবে যে ঠিক কতজনের ব্যবসা মার্কেটে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তাদের নাম, ব্যবসার ধরন আরও কত কী। কিন্তু সরকারের কাছে এসব কিছুই নেই বলে সর্বভারতীয় দৈনিকগুলিতে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে সরকার মনে করছে, যারা ঋণ নিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের ব্যবসাই মার্কেটে দাঁড়িয়েছে।

Published on: মে ২৮, ২০১৮ @ ২১:২৪


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − = 2