মাঝ রাস্তায় গাড়ি থেকে নেমেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের উদ্ধারে হাত লাগালেন তৃণমূলের এই সাংসদ

Main রাজ্য
শেয়ার করুন

“আমি তো আমার দায়িত্ব সামলেছি মাত্র।আমার দল তৃণমূল কংগ্রেস আমার নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়ে এসেছি। এভাবেই কাজ করে যেতে চাই।”- ডা. উমা সোরেন, সাংসদ, ঝাড়গ্রাম

সংবাদদাতা-বাপ্পা মন্ডল                                                      ছবি-বাপন ঘোষ

Published on: জানু ১০, ২০১৯ @ ২১:১৮

এসপিটি নিউজ, ঝাড়গ্রাম, ১০ জানুয়ারিঃ দলের এক মিছিল শেষ করে নিজের গাড়িতে ঝাড়গ্রাম ফিরছিলেন। কিন্তু মাঝ রাস্তায় দেখতে পেলেন একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বাসের যাত্রীরা আহত অবস্থায় দাঁড়িয়ে কেউ বা বসে ছটফট করছে।তা দেখে তৎক্ষনাৎ গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন সাংসদ ডা. উমা সোরেন। তারপর তিনি যে কাজটি করলেন তা দেখে অভিভূত দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষগুলি ও তাদের পরিবার।

সাংসদ উমা সোরেনের গাড়িটি যখন লোধাশুলি পার করছিল ঠিক সেইসময় তাঁর চোখে পড়ে দৃশ্যটি। দেখেন- একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত অবস্থায় ছটফট করছেন। চালককে বলে গাড়ি থামান। এরপর তিনি গাড়ি থেকে নেমে সোজা দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের কাছে চলে যান। তাদের সঙ্গে কথা বলে এক এক করে সকলকে উদ্ধার করে নিজের গাড়ি এবং সঙ্গে থাকা পাইলট কার গুলিতে তোলেন। তারপর নিজেই তাদের নিয়ে ছোটেন ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

জানা গেছে, একটি ধান বোঝাই লড়ি হঠাৎ করেই রাস্তার বিপরীত দিক থেকে এসে যাত্রীবাহী বাসটিকে ধাক্কা মেড়ে উল্টে যায়। বাসের সামনে বসে থাকা যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। আহতদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে যান।সাংসদের এমন ভূমিকা দেখে অনুপ্রাণিত পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে সাধারণ পুলিশ কর্মীরাই।

এরপর সাংসদ উমা সোরেন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে আহতদের নিয়ে আসেন। সাংসদের উপস্থিতিতে চিকিৎসা দ্রুততার সঙ্গে চলতে থাকে। তিনিও তদারকি করতে থাকেন। সেই সঙ্গে আহতদের কাছ থেকে তাদের বাড়ির লোকজনের ফোন নম্বর নিয়ে তাদেরকে খবরও পাঠান। কিছু সময়ের মধ্যে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর বেডে দেওয়া হলে তবেই হাসপাতাল ছেড়ে বের হন সাংসদ।

সাংসদের কাছ থেকে এমন সাহায্য পেয়ে অভিভূত আহতরা ও তাদের পরিবারের লোকজন। সকলে একটা কথাই বলছেন ওই সময় তিনি যদি ওই জায়গা দিয়ে না যেতেন তা হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারত। কারণ, দুর্ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখান থেকে চটজলদি হাসপাতালে নিয়ে আসা কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না।তার উপর তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থাকায় চিকিৎসাতেও কোনও খামতি হয়নি।

সব শুনে নির্বিকার সাংসদ ডা. উমা সোরেন বলছেন- “আমি তো আমার দায়িত্ব সামলেছি মাত্র।আমার দল তৃণমূল কংগ্রেস আমার নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়ে এসেছি। এভাবেই কাজ করে যেতে চাই।”

Published on: জানু ১০, ২০১৯ @ ২১:১৮

 

 

 


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 + 5 =