চন্দ্রযান ৩: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী ভারত হল প্রথম দেশ

Main দেশ বিদেশ ভ্রমণ
শেয়ার করুন

Published on: আগ ২৩, ২০২৩ @ ২০:৪৯
Reporter: Aniruddha Pal

এসপিটি নিউজ, কলকাতা, ২৩ আগস্ট: চন্দ্রযান ৩ তার নির্ধারিত সময়ে সফলভাবেই অবতরণ করল। একই সঙ্গে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী ভারত বিশ্বে প্রথম দেশের মর্যাদা পেল। আজ পর্যন্ত বিশ্বে আর কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। এর আগে ভারত দু’বার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। তবে তৃতীয়বার সফল হল। অবতরণ করেই চন্দ্রযান ৩ বার্তা পাঠিয়েছে-‘আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছেছি এবং তুমিও!’ তবে এই সফলতার পিছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ইসরোর বিজ্ঞানীদের। আর ইসরোর দুই চেয়ারম্যান প্রাক্তন কে সিভন এবং এস সোমনাথ।

গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান ৩ চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। এরপ চন্দ্রযান এই সময় পৃথিবীকে ২১ বা পদক্ষিণ করে। চাঁদকে ১২০ বার প্রদক্ষিণ করে। মোট ৫৫ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ৪০দিনের মাথায় আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪ মিনিট নাগাদ চন্দ্রপৃষ্ঠে দক্ষিণ মেরুতে সফল ভাবে অবতরণ করে।

এই অভিযানে খরচ হয়েছে মাত্র ৬০০ কোটি টাকা।এত কম খরচে চাঁদে অভিযান এটাও একটা নজির গড়েছে ভারত।

জানুন চন্দ্রযান ৩ সম্পর্কে

চন্দ্রযান-৩ হল চন্দ্রযান-২-এর একটি ফলো-অন মিশন যাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ অবতরণ এবং ঘোরাফেরা করার জন্য শেষ থেকে শেষ পর্যন্ত সক্ষমতা প্রদর্শন করা যায়। এটি ল্যান্ডার এবং রোভার কনফিগারেশন নিয়ে গঠিত। এটি LVM3 দ্বারা SDSC SHAR, শ্রীহরিকোটা থেকে চালু হয়৷ প্রোপালশন মডিউলটি 100 কিলোমিটার চন্দ্র কক্ষপথ পর্যন্ত ল্যান্ডার এবং রোভার কনফিগারেশন বহন করবে। চন্দ্র কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালী এবং পোলারি মেট্রিক পরিমাপ অধ্যয়ন করার জন্য প্রপালশন মডিউলটিতে বাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থ (শেপ) পেলোডের স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি রয়েছে।

ল্যান্ডারের পেলোড: তাপ পরিবাহিতা এবং তাপমাত্রা পরিমাপ করতে চন্দ্রের সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট (ChaSTE); ল্যান্ডিং সাইটের চারপাশে ভূমিকম্প পরিমাপের জন্য লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি (আইএলএসএ) এর জন্য যন্ত্র; ল্যাংমুইর প্রোব (এলপি) প্লাজমা ঘনত্ব এবং এর বৈচিত্র অনুমান করতে। NASA থেকে একটি প্যাসিভ লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে চন্দ্র লেজার রেঞ্জিং অধ্যয়নের জন্য স্থান পেয়েছে।

রোভার পেলোড: আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (এপিএক্সএস) এবং লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (এলআইবিএস) অবতরণ সাইটের আশেপাশে মৌলিক রচনার জন্য।

চন্দ্রযান-৩ একটি দেশীয় ল্যান্ডার মডিউল (এলএম), প্রপালশন মডিউল (পিএম) এবং একটি রোভার নিয়ে গঠিত যার উদ্দেশ্য আন্ত গ্রহের মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রদর্শন করা। ল্যান্ডারের একটি নির্দিষ্ট চন্দ্র সাইটে নরম ল্যান্ড করার ক্ষমতা থাকবে এবং রোভার মোতায়েন করবে যা তার গতিশীলতার সময় চন্দ্র পৃষ্ঠের ইন-সিটু রাসায়নিক বিশ্লেষণ করবে। চন্দ্রপৃষ্ঠে পরীক্ষা চালানোর জন্য ল্যান্ডার এবং রোভারের বৈজ্ঞানিক পেলোড রয়েছে। PM-এর প্রধান কাজ হল লঞ্চ ভেহিকেল ইনজেকশন থেকে LM কে চূড়ান্ত চন্দ্রের 100 কিলোমিটার বৃত্তাকার মেরু কক্ষপথ পর্যন্ত বহন করা এবং LM কে PM থেকে আলাদা করা। এটি ছাড়াও, প্রোপালশন মডিউলে একটি বৈজ্ঞানিক পেলোড রয়েছে যা একটি মূল্য সংযোজন হিসাবে যা ল্যান্ডার মডিউলের পৃথকীকরণের পরে পরিচালিত হবে। চন্দ্রযান-৩-এর জন্য চিহ্নিত লঞ্চার হল LVM3 M4 যা ~170 x 36500 কিমি আকারের একটি উপবৃত্তাকার পার্কিং অরবিটে (EPO) সমন্বিত মডিউল স্থাপন করবে।

এর আগে ১৯৬৬ সালে রাশিয়া এবং আমেরিকা এনং ২০১৩ সালে চিন চাঁদে অবতরণ করেছিল। ভারত চতুর্থ দেশ হিসাবে সেই কৃতিত্ব অর্জন করল।

Published on: আগ ২৩, ২০২৩ @ ২০:৪৯


শেয়ার করুন