সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল
Published on: জানু ৮, ২০১৮ @ ০০:০৯
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ৭ জানুয়ারিঃ তমলুকের শ্রেয়া দাসের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ নার্সিনহোমেই প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানকে।রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ এই ঘটনার পর থেকে মেদিনীপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাশিস ভৌমিকের নেতৃত্বে শ’খানেক তৃণমূল কর্মী ঐ বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।টানা আট ঘণ্টা জেরার পর রাত দুটো নাগাদ ঐ বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করে মেদিনীপুরের কোতয়ালী থানার পুলিশ।য়াজ দুপুরে তাকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, তমলুকের শ্রেয়ার সঙ্গে নাকি সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী পাশকুড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান আনিসুর রহমানের একটা সম্পর্ক ছিল। হঠাৎ করেই নাকি শ্রেয়ার শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে মেদিনীপুরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাকে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসকরা বাড়ির লোকজনকে জানায় সে নাকি ঘুমের ওষুধ খেয়েছে। এরপর বিষয়টি পুলিশের কাছে চলে যায়। পুলিশ নার্সিংহোমে এসে শ্রেয়া ও তার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে আনিসুরের ব্যাপারে জানতে পারে। শ্রেয়া অভিযোগ করে, আনিসুর নাকি তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। এরপর পুলিশ শ্রেয়াকে বলে, সে যেন আনিসুরকে এখানে ডাকে।শ্রেয়ার ডাকে সাড়া দিয়ে আনিসুর সোজা ছুটে আসে ঐ নার্সিংহোমে।অভিযোগ, আনিসুর শ্রেয়াকে এখান থেকে নিয়ে যেতে চাইলে শ্রেয়া চিৎকার করে ওঠে। ঘটনাস্থলে তখন উপস্থিত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শচীন মক্কড় ও কোতয়ালী থানার আইসি সুশান্ত রাজবংশী সহ বিশাল পুলিশ বাহিনি।রাত দুটো পর্যন্ত পুলিশ ঐ বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানকে নার্সিংহোমেই আটক করে জেরা করার পর গ্রেফতার করে।
তার আগে রাতে নার্সিংহোমের বাইরে তখন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে, ওই বিজেপি নেতার গ্রেফতারের দাবিতে। গত ১৫ ডিসেম্বর সবং-এর বিজেপির একটি সভায় মুকুল রায়ের হাত ধরে আনিসুর রহমান বিজেপিতে যোদ দেন।এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়।
Published on: জানু ৮, ২০১৮ @ ০০:০৯