সংবাদদাতা-বাপ্পা মণ্ডল ছবি-রামপ্রসাদ সাউ
Published on: ফেব্রু ১৪, ২০১৮ @ ২৩:৩৫
এসপিটি নিউজ, মেদিনীপুর, ১৪ ফেব্রুয়ারিঃ নিয়তির কি পরিহাস! এতদিন যে পুলিশ অফিসার নিজেই আসামি নিয়ে আসতেন আদালতে এদিন সেই পুলিশ অফিসারকে আসতে হল আসামি হয়ে। এমনকী, প্রায় দু’ঘণ্টা থাকতে হল আদালতের লকআপে। যেখানে ছিল খুনের মামলার এক আসামিও। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই পুলিশ অফিসারের ব্যাপারে সিআইডি দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েছে। মঙ্গলবারই তাকে গ্রেফতার করে। তার আগে মহনপুর থানার এই অফিসার রাজশেখর পাইনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছিল। মেদিনীপুর এসিজেএম আদালত এদিন তাকে ন’দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার কোতয়ালি থানা থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার পর বেলা ১২টা ২১ মিনিট নাগাদ রাজশেখর পাইনকে মেদিনীপুরের এসিজেএম আদালতের লকআপে নিয়ে এসে রাখা হয়। যেখানে আগে থেকে এনে রাখা হয়েছিল শ্রীন নাইডু খুনের মামলায় ধৃত বাসব রামবাবুকে। তবে কেউ এদিন কারও সাথে কথা বলেননি। দেখা যায় রামবাবুকে শিব নাম জপ করতে।
বুধবার বেলা আড়াইটে নাগাদ রাজশেখর পাইনকে জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৌভিক ঘোষের এজলাসে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব তদন্তের স্বার্থে গরু ব্যবসায়ীর ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ধৃত পুলিশ আধিকারিক রাজশেখর পাইনকে ১৪দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান। এই সময়, ঐ ধৃত পুলিশ আধিকারিকের পক্ষে মৃণাল চৌধুরির নেতৃত্বে সাতজন আইনজীবী উঠে দাঁড়িয়ে বলেন, তাদের মক্কেল নির্দোষ। তাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক।
দুই পক্ষের কথা শোনার পর বিচারক সৌভিক ঘোষ ধৃত রাজশেখর পাইনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। সেইসঙ্গে তাকে ন’দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর সিআইডি দৃত ঐ পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে চলে যান।
Published on: ফেব্রু ১৪, ২০১৮ @ ২৩:৩৫