
Published on: নভে ২৪, ২০১৮ @ ২৩:০৮
এসপিটি স্পোর্টস ডেস্কঃ পাঁচ বারের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ছয় বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন। তিনি ৪৮ কিলোগ্রাম লাইট ফ্লাইওয়েট ক্যাটাগরিতে ইউক্রেনের হেনা আখোটাকে পরাজিত করেন। ৩৫ বছর বয়সী মেরি কম শনিবার নিউ দিল্লির কেডি যাদব স্টেডিয়ামে হেনাকে ৫-০ ব্যব্ধানে হারিয়ে দেন। ফাইনাল একপ্রকার একতরফা ম্যাচ হয়ে যায় মেরি কমের কাছে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ ২০১০ সালে খেতাব জিতে সোনা লাভ করেছিলেন মেরি। তার আগে মেরি ২০০২, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৮ সালে জয়ী হয়েছিলেন। এই রেকর্ডের সঙ্গে তিনি আয়ার্ল্যান্ডের কেটি টেলরের পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের রেকর্ড ভেঙে দেন। সেই সঙ্গে মেরি পুরুষ বক্সার ফেলিক্স সেয়নের ছয় বারের বিশ্ব খেতাব অর্জনের রেকর্ডের এক সারিতে চলে এলেন।
ইউক্রেনের হেনা মাত্র ২২ বছরের তরুণী।মেরির সঙ্গে তার বয়সের পার্থক্য ১৩ বছরের। হান্টার নামে খ্যাত হেনা ইউরোপিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে হেনা রূপো পান।
মণিপুরে এক গরিব পরিবারে জন্ম নেওয়া এই মেয়ে যে একদিন বিশ্ব রেকর্ড করবে তাও সেই বক্সিং-এ তা সেদিন বুঝতে পারেনি তাঁর বাড়ির লোকজন। সেইসময় তাঁকে বক্সিং-এ যেতে আপত্তি করেছিল বাড়ির লোকজন। ছোটবেলায় তিনি বাড়ির কাজ করতেন। ক্ষেতে যেতেন, ভাই-বো্নকে সামলাতেন সেই সঙ্গে চলত তার প্র্যাকটিস।
১৯৯৮ সালে ডিঙ্কো সিং এশিয়াড বক্সিং-এ সোনা জেতার পর মেরি কম তা দেখে উদবুদ্ধ হন। এক সময় তো মেরি কমের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তাঁর বাবা-মা। অবশেষে ২০০০ সালে কাগজে স্টেট চ্যাম্পিয়নের ছবি ছাপার পর খোঁজ মেলে মেরি কমের। তাঁর বাবার ধারনা ছিল যে বক্সিং-এ চোটপেলে চিকিৎসার খ্রচ জোগানো অসুবিধা হবে। এমনকী বিয়ে দিতেও সমস্যা হবে।
মেরি কমকে নিয়ে বলিউডে একটি বায়োপিক হয়। যেখানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মেরি কমের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
Published on: নভে ২৪, ২০১৮ @ ২৩:০৮