Published on: ফেব্রু ১৫, ২০১৮ @ ২১:৩৪
এসপিটি নিউজ, বেলপাহাড়ি, ১৫ ফেব্রুয়ারিঃ কেন্দ্রে বিজেপি শাসিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি সবসময় স্বচ্ছ-দুর্নীতি মুক্ত ভারত গড়ার কথা বলেন। অথচ দেশের এক রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে লোপাট হয়ে গেল এতগুলো টাকা। ইতিমধ্যে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ হীরা ব্যবসায়ী নীরব মোদি ও এর গীতাঞ্জলী জেমসের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে ৫,১০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। বেলপাহাড়ির সভায় দাঁড়িয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন তোলেন, কি হয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে? ১১ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। আমরা চাই এর তদন্ত হোক।
মমতা প্রশ্ন তোলেন, জনগণের টাকা কে তুলে নিয়েছে? কে খেয়ে নিয়েছে? কার সোনা কোথা থেকে এল?কোথা থেকে গেল?তারা তো চুরি করে পালিয়ে যাবে।সাধারণ মানুষ কোথায় পাবে?আমরা মনে করি এই সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। মানুষের টাকা যাতে গচ্ছিত থাকে মানুষের টাকা মানুষ যাতে পায় তার ব্যবস্থা করা হবে। না করলে আমরা এটাকে ছাড়ব না।
এখানেই না থেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে থাকেন, বিজেপিরা বড় বড় কথা বলে। আপনারা জানেন রিসেন্ট একটা বিল নিয়ে আসছে বিলটার নাম হচ্ছে এফআরআইডি (ফ্রিড)।সেই বিলটা নিয়ে আমি চিঠি লিখলাম-এই বিল উইথড্র করা দরকার। গ্রামগঞ্জের মানুষ টাকা রাখছে ব্যাঙ্কে যখন-তখন আপনার টাকাটা ব্যাঙ্ক নিয়ে নেবে। আপনার টাকা আপনি পাবেন না।
আমরা বিজেপি সরকারকে দিল্লিতে বললাম-বড় বড় কথা বলছ আর গরিব মানুষের সব টাকা তোমরা কেটে নিচ্ছ। এটা তো হতে পারে না। এই বিল উইথড্র করো। ফাইনান্স মিনিস্টার আমার চিঠির উত্তর দিলেন না আমাকে এড়িয়ে গেলেন। তারপর একটা স্টেট মিনিস্টারকে দিয়ে চিঠি লিখলেন। সে চিঠিটা হচ্ছে-না এগুলো করলে কিছু হবে না। আমি আজ আসার আগে আর একটা স্ট্রং চিঠি দিয়ে এসছি।এই বিল তোমায় উইথড্র করতে হবে। জনগণের টাকা হজম করা চলবে না। আজকে মানুষ শঙ্কিত, বলেন মমতা।
ছবি সৌজন্যে ফেসবুক
Published on: ফেব্রু ১৫, ২০১৮ @ ২১:৩৪