
Published on: মার্চ ১৩, ২০১৮ @ ১৯:৫৯
এসপিটি নিউজ, দার্জিলিং, ১৩ মার্চঃ কেউ আসে কথার ফুলঝুরি নিয়ে। কেউ আসে কাজ করতে। মানুষ বোঝে একটু দেরীতে। প্রায় এক বছর আগে পাহাড়ে অশান্তির আগুন দেখে কলকাতায় বসে অনেকেই হেসেছিলেন। পাহাড়ের একাংশকে উসকে দিয়ে ঘৃন্য রাজনীতির ফায়দা তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু, কয়েক মাস যেতে না যেতেই চিত্রটা পুরোপুরি বদলে গেল। পাহাড় এখন আগের চেয়ে আরও বেশি সুন্দর, আরও বেশি বলীয়ান, আরও বেশি সক্ষম। আর এটা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই। তাই তো পাহাড়বাসী বলতে শুরু করেছেন, পারলে তিনিই পারবেন, দার্জিলিং জেলার উন্নয়ন ঘটাতে। বারে বারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে রীতিমতো উজ্জ্বীবিত গোটা দার্জিলিং।
মাস খানেক আগে পাহাড়ে এসে জিটিএ-র চেয়ারম্যান বিনয় তামাং-এর কাছে প্রস্তাবরেখেছিলেন তিনি চাইলে পাহাড়ের উন্নতিতে শিল্প সম্মেলন করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এমন প্রস্তাব লুফে নিয়েছিলেন বিনয় তামাং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এই অভিজ্ঞ নেতা সেদিন বুঝেছিলেন, পাহাড়ের উন্নতিতে এর চেয়ে ভাল প্রস্তাব আর হয় না। কারণ, পাহাড়কে ভালো করে গড়ে তুলতে হলে চাই শিল্প স্থাপন। শিল্প হলেই পাহাড়ের উন্নতি হবে।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে দার্জিলিং পাহাড়ে শুরু হয়েছে দু’দিনের হিল বিজনেস সামিট। এই শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও হাজির হয়েছেন রাজ্যের সচিবালয়ের একাধিক অফিসার, মন্ত্রী, বিধায়ক থকে শুরু করে দার্জিলিং-এর প্রতিনিধিরাও।
কয়েক মাস আগেও যে দার্জিলিং ছাড়ার কথা ভাবছিলেন অনেকেই, এখন তারা তো বটেই বাইরের বহু মানুষ ফের নতুন করে দার্জিলিং নিয়ে উৎসাহ দেখাতে শুরু করেছেন। পর্যটন শিল্প আবার লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে। রাজ্য সরকার এবং জিটিএ-র মধ্যে সুসম্পর্ক সে ভাবনাকে আরও বেশি করে সুদৃঢ় করে তুলছে।
এদিন হিল বিজনেস সামিটে দেখা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর পাশের চেয়ারেই বসেছিলেন জিটিএ-র চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। দু’জনকেই দেখা গেছে খোশ মেজাজে।এই ছবি শুধু এই দু’জনের পক্ষে নয় গোটা রাজ্যের পক্ষেই কিন্তু ইতিবাচক দিক তুলে ধরবে। যার ফল পাবে গোটা রাজ্যবাসী।
পাহাড়ে পর্যটন, চা, পরিবহন, তথ্যপ্রযুক্তি, উদ্যানবিদ্যা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তশিল্প, ফুল ও গোলাপী, ঔষধি উদ্ভিদ, কৃষি ও সংশ্লিষ্ট সেক্টর এবং পণ্যগুলির উপর বিশাল সম্ভাবনা আছে। এতদিন এসব নিয়ে কেউ ভাবেইনি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, পাহাড়ের অর্থনীতির উন্নয়নে এগুলিকে কাজে লাগিয়ে সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে হবে। সেদিকে বিনিয়োগকারীদের টানতে হবে। তাহলে পাহাড়ে আরও বেশি করে স্থানীয় জনগণের জন্য আরও কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার সুযোগ সৃষ্টি করবে।মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই কথা শোনার পর আপ্লুত জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং সহ পাহাড়ের নেতারা। সকলের মুখে একটাই কথা, পারলে তিনিই পারবেন। ছবিঃ ফেসবুক
Published on: মার্চ ১৩, ২০১৮ @ ১৯:৫৯